গাজীপুর: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক,ডায়গনষ্টিক ও ডেন্টাল ক্লিনিক চালানো যাবে না। শ্রীপুরে স্বাস্থ্য বিভাগে ভেজাল বিরোধী অভিযান যে কোন সময় শুরু হবে বলে হুসিয়ারী দিয়েছেন স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়র। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেছেন, আমরা প্রস্তুত। স্বাস্থ্যখাতে কোন অনিয়ম সহ্যৃ করা হবে না বলে হুসিয়ারী দিয়েছেন তারা।
সরেজমিন শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রয়োজনীয় কাজপত্রের সংকট। নবায়ন নেই বললেই চলে। তবে অনিয়মকে নিয়ন্ত্রন করতে সরকারী-বেসরকারী একটি সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। শক্তিশালী এই সিন্ডিকেটের কর্তাব্যক্তিরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক রেখে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাখাতকে অনিয়মের মধ্যে ডুবিয়ে রেখেছেন। বেসরকারী নিয়ন্ত্রক ওই নেতারা স্বাস্থ্যখাতকে জিম্মি করে ব্যবসা করছেন অনেক সময় ধরে।
এ সকল বিষয়ে কথা বলতে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ডাঃ প্রণয় ভূষণের দপ্তরে গেলে তিনি জানান, তার কাছে কোন তালিকা নেই। বেসরকারী হাসপাতাল মালিক সমিতির এক নেতা তালিকা দিবেন বলে জানান তিনি। তবে কয়েক ঘন্টা পর ওই কর্মকর্তা একটি তালিকা পাঠান যেখানে কয়েকটি হাসপাতালের নাম লেখা থাকলেও আর কোন তথ্য নেই। শ্রীপুর উপজেলায় কতগুলো বেসরকারী হাসপাতাল ক্লিনিক,ডায়গনষ্টিক ও ডেন্টাল ক্লিনিক রয়েছে তাও তিনি জানেন না।
অসম্পূর্ন তালিকা দেয়া প্রসঙ্গে গাজীপুরের সিভিল সার্জন বলেছেন, এ রকম তালিকা কেন দিলেন ওই কর্মকর্তা, তা তিনি খতিয়ে দেখবেন। তবে জেলা প্রশাসকের তথ্য বাতায়নে শ্রীপুরে প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়গনষ্টিক সেন্টার ও চক্ষু হাসপাতাল সহ মোট ২৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাব চালাতে চাইলে যেসব লাইসেন্স সমূহ দরকার
১-২ ট্রেড লাইসেন্স
৩ টিন সার্টিফিকেট
৪ ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন
৫ পরিবেশ ছাড়পত্র
৬ ফায়ার সার্ভিস
৭ নারকোটিক লাইসেন্স
৮ ডিলিং লাইসেন্স
৯ ড্রাগ লাইসেন্স
১০ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডায়াগনস্টিক ল্যাব
১১ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হসপিটাল
১২ পরমাণু শক্তি কমিশন এক্সরে লাইসেন্স।
শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান বলেছেন, তার পৌর এলাকায় বেসরকারী হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারের মোট ২৫টি ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। এ সকল লাইসেন্স হালনাগাদ করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে তিনি অভিযান চালাবেন বলে জানান।
শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল আলম প্রধান বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতের বেহাল দশা থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। শ্রীপুরে যেন কোন শাহেদের জন্ম হতে না পারে, সেজন্য খুব দ্রুতই শুদ্ধি অভিযান চালানো হচ্ছে।
গাজীপুর-৩(শ্রীপুর) আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ বলেছেন, সরকারী যথাযথ অনুমতি ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠানকে চিকিৎসা করতে দেয়া হবে না। সরকারী নিয়ম নীতি মেনেই প্রতিষ্ঠান চালাতে হবে। কোন ভেজাল প্রতিষ্ঠান আছে কি না, তার জন্য শুদ্ধি অভিযান চালানো হবে।