গাজীপুর: গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া শহরে কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে কারো লাইসেন্স নবায়ন পাওয়া যায়নি।
খোঁদ সভাপতির হাসপাতালে ড্রাগলাইসেন্স ছাড়া ঔষুধের স্তুুপ থাকলেও সভাপতি সাহেব বললেন, রোগীদের প্রয়োজনে রেখেছি। দ্রুত সেবার জন্য রাখা ঔষুধ তাই ড্রাগলাইসেন্স নেই। এ ছাড়া কাপাসিয়ার কোন বেসরকারী হাসপাতালেরও লাইসেন্স নবায়ন নেই। কারণ গাজীপুর জেলায় নবায়ন কাজ শুরু করেনি সিভিল সার্জন অফিস বলে জানিয়েছেন সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।
সরেজমিন কাপাসিয়া ঘুরে এ সব তথ্য পাওয়ায় যায়।
অনুসন্ধানকালে কাপাসিয়া শহরে দেলোয়ার জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, এই হাসপাতালের মালিক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বেসরকারী হাসপাতাল মালিক সমিতির কাপাসিয়া উপজেলার সভাপতি। তিনি সব কাগজপত্র দেখালেও আপডেট লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। আপডেট না থাকার কারণ হিসেবে তিনি জানান, সিভিল সার্জন অফিস এখনো নবায়নের কাজ শুরু করেনি। সভাপতির রুমে স্তুপ করে রাখা ঔষুধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোগীদের যেন দ্রুত ঔষুধ সরবরাহ করা যায়, সে জন্য তিনি এত ঔষুধ মজুদ করে রেখেছেন। তবে ঔষুধ ও তার হাসপাতালের ড্রাগলাইসেন্স নেই বলে স্বীকার করেন তিনি।
কাপাসিয়ায় কতগুলো বেসরকারী হাসপাতাল ডায়গনষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক আছে এবং তার সংগঠনে কতজন সদস্য রয়েছেন এই প্রশ্নের উত্তরে দেলোয়ার হোসেন একটি কাগজ দেন, যেখানে কিছু টাইপ করা ও কিছু হাতে লেখা নাম লেখা আছে তবুও স্বাক্ষর বিহীন যা প্রমান হিসেবে যথেষ্ট নয়।
একই অবস্থা জোবেদা মেমোরিয়াল হাসপাতালে। এই হাসপাতালের এমডি মোঃ ইকবাল হোসেন বাবুল জানান, নবায়নের কাজ এখনো শুরু হয়নি। আমরা যোগাযোগ করতেছি সিভিল সার্জন অফিসের সাথে। নবায়নের কাজ শুরু হলেই করে ফেলব।
এদিকে কাপাসিয়ায় শীতলক্ষা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, তাদেরও লাইসেন্স নবায়ন নেই। স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় হিসেবে খ্যাত এই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে হাসপাতালে আসতে বললেও আসেননি । হাসপাতালে থাকা ম্যানেজার পরিচয়ে এক ব্যক্তি জানান, লাইসেন্স নবায়ন হয়নি। মালিকপক্ষ হাসপাতালে নেই।
কাপাসিয়া উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মামুনুর রহমান জানান, কাপাসিয়া উপজেলায় প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়গনষ্টিক সেন্টার ও ডেন্টাল ক্লিনিক মিলে মোট ৪২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের আপডেট কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে।