“স্বাস্থ্যবান গাজীপুর”-২: আমি ডাক্তার নই, চেয়ারে বসে ফেসবুক চালাই

Slider জাতীয়


গাজীপুর: বেসরকারী হাসপাতাল। অনেক মানুষের আনাগোনা। ডাক্তারের পোষাক পড়া গলায় চিকিৎসার যন্ত্রপাতি নিয়ে চলাফেরা করছেন অনেক মানুষ। অপেক্ষমান রুমে রোগীও আছে। হাসপাতালে ঢুকতেই হাতের ডান দিকে একটি চেম্বার। চেম্বারের সামনে উপরে লেখা আছে ডাক্তারের নেমপ্লেট। ভেতরে ডাক্তারের চেয়ারে বসা এক ভদ্রলোক। ছবি তোলার সময় তিনি বলে উঠলেন। ভাই আমি সেই ডাক্তার নই। আমি হাসপাতালের লোক। আমি বসে বসে ফেসবুক চালাই।

গত সোমাবার গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ায় মডিউল হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেলো এই দৃশ্য। বেসরকারী হাসপাতালের মধ্যে মডিউল হাসপাতাল কাপাসিয়ায় অনেক পরিচিত। স্থানীয়রা বলছেন, ডাক্তার রুহুল আমিন সাহেব এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। হাসপাতালে ঢুকতেই প্রথম চেম্বারের সামনে অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ রুহুল আমিন সাহেবের নাম লিখা ছিল কিন্তু ভেতরে ডাক্তারের চেয়ারে বসা ছিলেন অন্য লোক।

এ বিষয়ে জানতে গেলে তাৎক্ষনিকভাবে মডিউল হাসপাতালের কেউ কোন বক্তব্য দেয় নি। তবে হাসপাতাল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত সোহেল নামে একজন এ বিষয়ে পরে জানাবেন বলে জানালেও এখনও কোন বক্তব্য দেননি।

স্থানীয় সূত্র বলছে, ডাক্তার রুহুল আমিন সাহেব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিশু সার্জারী বিভাগের ডাক্তার। তিনি মাঝে মাঝে কাপাসিয়ায় মডিউল হাসপাতালে বসেন। করোনা সংক্রমনের প্রথম দিকে তিনি কাপাসিয়ার রায়েদে তার গ্রামের বাড়িতে নতুন একটি হাসপাতাল নির্মান করেছিলেন। ওই হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা করা হতো বলে স্থানীয়রা বললেও সরকারী সূত্র বলছে, ডাঃ রুহুল আমিন সাহেবের ওই হাসপাতালকে আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছিল। পরবর্তি সময় তা বন্ধ করে দেয়া হয়।

কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মামুনুর রহমান বলেছেন, রায়েদে ডাক্তার রুহুল আমিন সাহেবের হাসপাতালে আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছিল। পরে তা বন্ধ করে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে ডাক্তার রুহুল আমিন সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *