ঢাকা: দেশের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যায় মানুষের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, ত্রাণের যেন কোনো ঘাটতি না হয়। মানুষের জীবন-জীবিকা ও খাওয়া-দাওয়ার যেন কোনো অসুবিধা না হয়। সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, আজ মূলত বন্যা নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বন্যা নিয়ে যাতে আমরা সবাই প্রস্তুত থাকি। আমরা আজকে দেখলাম পদ্মার পানি ১৬ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির স্পিডটা অনেক বেশি, তিনের চেয়ে বেশি। পানির সঙ্গে পলি মাটি রয়েছে।
উপর থেকে পানি এখন ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামছে। মন্ত্রিসভায় অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে যে, রিলিফ অপারেশন, রেসকিউ অপারেশন- এগুলো কীভাবে হচ্ছে, এ বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরো বলেন, মানুষের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, যাতে ত্রাণের কোনো ঘাটতি না হয়। মানুষের জীবন-জীবিকা ও খাওয়া-দাওয়ার যাতে কোনো অসুবিধা না হয়। টয়লেট ফ্যাসিলিটিজ, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং ওয়াটার পিউরিফায়ার ট্যাবলেট- এগুলো যাতে এভেইলএবেল থাকে। হেলথ, ফ্যামিলি প্ল্যানিং সবাইকে ইন্সট্রাকশন দেয়া আছে। ইউনিয়ন লেভেলে তাদের যারা কাজ করে, তারা যাতে মানুষের পাশে থাকে- এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মেইনলি এখন যমুনা ও পদ্মার পানি আসছে। মেঘনার পানি সুনামগঞ্জ-সিলেটে যেটা ছিল সেটা একটা ফ্ল্যাস ফ্লাডের মতো ছিল ৬-৭ দিন, এখন সেটা নেমে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এ বিষয়ে প্রস্তুত আছে। আমরাও এটা রেগুলার মনিটর করছি।