কাপাসিয়া(গাজীপুর): গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ায় ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষনের পর গর্ভপাত ঘটানোর মামলায় গর্ভপাত ঘটানোর কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় সাফা মারওয়া হাপসাতালের নার্স নরুন্নাহার বেবী। দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে পাঠানোর পর পুলিশ এই তথ্য জানায়। একই সঙ্গে মামলার প্রধান আসামী কারাগারে থাকা মিয়ার উদ্দিনকে ৭দিনের রিমান্ডে আনার জন্য আবেদন করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো: রফিকুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়ে বলেন, নার্স বেবী রিমান্ডে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লেও নিজের বাসায় ভিকটিমের গর্ভপাত ঘটানোর কথা স্বীকার করেছেন। মামলার প্রধান আসামী মিয়ার উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত: গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার নলগাও(বুরুজ পাড়া) গ্রামে ৭ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষনের পর দুই মাস অন্ত:সত্বা অবস্থায় জোর পূর্বক আসামী পক্ষ গর্ভপাত ঘটানোর পর থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ধর্ষক ও গর্ভপাতের সহয়োগীরা আসামী হয়েছেন।
২ জুলাই কাপাসিয়া থানায় এই মামলা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, একই গ্রামের মিয়ার উদ্দিন(৬০) ভিকটিমকে ২৫ এপ্রিল ধর্ষন করলে ভিকটিম অন্ত:সত্বা হয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা আপোষের জন্য চাপ তৈরী করে। থানায় মামলা করতে গেলেও বাঁধা দেয়। এই অবস্থায় ২৫ জুন ধর্ষক মিয়ার উদ্দিন স্থানীয় রাজ্জাক, মফিজ ও মিলনেরর সহয়োগিতায় ভিকটিমকে কাপাসিয়ার সাফা মারওয়া জেনারেল হাসপাতালে জোর পূর্বক নিয়ে গিয়ে গর্ভাপাত ঘটায়। এরপর বিষয়টি আলোচনায় আসলে থানায় মামলা হয়। মামলায় ৪ জনকে আসামী করা হয়েছে।