গোয়েন্দা পুলিশের জেরার মুখে আছেন করোনা পরীক্ষার সনদ জালিয়াতির হোতা ও জেকেজি’র চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী। আজ তার তিনদিনের রিমান্ড শেষ হবে। আগের মতো রিমান্ডেও সাবরিনা জেকেজি’র সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন। যদিও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জেকেজি’র সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে এমন ডজনখানেক প্রমাণ পেয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে সাবরিনা তদন্ত কর্মকর্তাদের অধিকাংশ প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারছেন না। কিছু প্রশ্নের অগোছালো উত্তর দিচ্ছেন। তবে গোয়েন্দারা ইতিমধ্যে সাবরিনা ও তার স্বামীর নানা অনৈতিক কাজের তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন। তাদের সহযোগী হিসেবে আর কে কে আছেন এসব বিষয়ে তথ্য পেয়েছেন।
তাই শিগগিরই তাদের সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
এদিকে জেকেজি’র সিইও আরিফ চৌধুরী ও তার সহযোগী সাঈদ চৌধুরীর চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ডিবি সূত্র বলছে, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাবরিনা চৌধুরী, আরিফ চৌধুরী ও সাঈদ চৌধুরীকে আলাদা ও মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের প্রত্যেকের কথাবার্তা ক্রসচেক করা হবে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যারা ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে সহযোগিতা করেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক রয়েছেন। তারা ক্ষমতাসীন দলের হয়ে চিকিৎসকদের সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এসব চিকিৎসক ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। চিকিৎসকদের সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবিতে তারা আছেন। তাদেরকে ব্যবহার করে সাবরিনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সহ আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রভাব বিস্তার করে কাজ আদায় করে নিয়েছেন। এই চিকিৎসকদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাদের একজন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ডা. কামরুলের বিষয়ে ব্যাপক তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সাবরিনার সঙ্গে কামরুলের সম্পর্কের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। সহকর্মী ও চিকিৎসক সংগঠন থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। কামরুলের সহযোগিতা নিয়েই সাবরিনা বিএমএ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ পেয়েছেন বলে তথ্য রয়েছে। সাবরিনা প্রথমদিকে ডা. কামরুলের বিষয়ে মুখ না খুললেও নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে কামরুলের সংশ্লিষ্টতার তথ্য দিচ্ছেন। তাই তার তথ্যের ভিত্তিতেই ডা. কামরুলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
কামরুল ছাড়াও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ডা. সাবরিনার এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। এই বান্ধবীর সঙ্গে তাকে প্রায়ই দেখা যেত। রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন পার্টি, অনুষ্ঠান, মন্ত্রণালয়ে একসঙ্গে তাদের উপস্থিতি ছিল। বান্ধবীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। এক পোশাক ব্যবসায়ীর স্ত্রী তিনি। গোয়েন্দারা সাবরিনার বান্ধবীর বিষয়ে বেশকিছু তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তিনি একাধিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। নিজেকে তিনি ব্যবসায়ী ও এফবিসিআই’র পরিচালক হিসেবেও পরিচয় দেন। একটি আইপি টেলিভিশনের (অনুমোদনহীন) মালিক বলেও তার পরিচিতি আছে। এই টিভির পরিচয়পত্র বিক্রি করে তিনি টাকা কামান। টিভি চ্যানেলের মালিক পরিচয় দিয়ে তিনি বিভিন্ন স্থানে প্রভাব বিস্তার করেন। মানুষকে হুমকি-ধামকি দেন। সচিবালয়ে রয়েছে তার অবাধ যাতায়াত। কিছুদিন আগে আরেক বেসরকারি টেলিভিশন মালিকের সঙ্গে গান করার কথা বলে ও ইফতার পার্টিতে সিনেমার গান করে দেশ-বিদেশে আলোচিত হয়েছেন।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, এই বান্ধবীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের চেনাজানা যেমন রয়েছে তেমনি তারা ঘনিষ্ঠও। ধানমণ্ডির একটি রেস্টুরেন্টে তাদের যাতায়াত ছিল নিয়মিত। সেখানে নিয়মিত পার্টি হতো। পরিবেশন করা হতো বিদেশি পানীয়। পার্টিতে অংশগ্রহণ করতেন আরো অনেক নারী। সূত্রমতে, সাবরিনা তার মাধ্যমে অনেক সুবিধা নিয়েছেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই বান্ধবীর বিষয়ে আরো বিস্তর তথ্য নিচ্ছেন। সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফের প্রতারণার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা সেটি দেখা হচ্ছে। যদি কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তবে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে, জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দারা জেকেজি’র মাদার প্রতিষ্ঠান ওভাল গ্রুপের বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছেন। জয়েন্ট স্টক থেকে অনুমোদন পাওয়ার সময় ওভালের বোর্ড অব ডিরেক্টর কত ছিলেন এখন কতজন আছেন, তাদের অবস্থান এখন কোথায়, ওভালের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে কিনা এসব বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওভালের অনুমোদন নেয়ার সময় আটজন ডিরেক্টরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন আরিফ চৌধুরী। বাকি সাত জনের তথ্য সংগ্রহ ও তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের অনেককেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এদের পাশাপাশি খোঁজা হচ্ছে সাবরিনা ও তার স্বামীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ জেকেজি’র কর্মী রোমিওকে। আরিফ চৌধুরী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পরপরই রোমিও পলাতক। রোমিও জেকেজি’র নানা প্রতারণার রাজসাক্ষী। তদন্ত কর্মকর্তারা মনে করছেন রোমিওকে পাওয়া গেলে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে। আর পুলিশের কাছে আরিফ চৌধুরী নিজেও স্বীকার করেছেন তাদের গুলশানের অফিসের একটি কক্ষে নারী নিয়ে থাকতেন রোমিও। ওই রুম থেকেই পুলিশ, বিদেশি মদ, কনডম, ইয়াবা খাওয়ার সরঞ্জাম, করোনা পরীক্ষার কিটসহ আরো অনেক কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কক্ষেই জেকেজি’র আরিফসহ অন্যরা মদ, ইয়াবা খেয়ে নারী নিয়ে পার্টি করতো। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, সাবরিনার সঙ্গে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সম্পর্ক রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম রনি নামের এক ব্যবসায়ী। মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসায় রনি থাকেন। রনির সঙ্গে সাবরিনার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। সাবরিনা নিজে গাড়ি চালিয়ে রনির বাসায় যেতেন। কাটাতেন দীর্ঘ সময়। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা রনির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। এ ছাড়া সাবরিনার মোবাইল ফোনের কললিস্টে অনেক চিকিৎসক নেতা থেকে শুরু করে সরকারদলীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি, সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী, বর্তমান এমপি, সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা, সাংবাদিক নেতা সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথাবার্তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সাবরিনা গ্রেপ্তারের পর থেকে এদের প্রত্যেকেই এখন আতঙ্কে আছেন। রিমান্ডে সাবরিনা যদি তাদের বিষয়ে তথ্য দেন এবং তদন্তে সাবরিনার প্রতারণার সঙ্গে যদি তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তবে তারাও ফেঁসে যেতে পারেন।
ওদিকে, সনদ জালিয়াতির ঘটনার পাশাপাশি সাবরিনার নানা কেলেঙ্কারির তথ্য বেরিয়ে আসছে একের পর এক। একাধিক পুরুষের সঙ্গে সাবরিনার অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি আগে থেকে চাউর। ডা. কামরুলের পর এবার আরেক হৃদরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্কের গুঞ্জন উঠেছে। মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোডের বিডিএম হাসপাতালে চেম্বার ছিল ওই চিকিৎসক ও সাবরিনার। তখন তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মূলত করোনার মতো স্পর্শকাতর একটা বিষয় নিয়ে সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরী মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কোনো পরীক্ষা ছাড়াই তারা ১৫ হাজারের মতো জাল সনদ দিয়েছেন। নিজেদের ইচ্ছেমতো পজেটিভ ও নেগেটিভ সনদ ইস্যু করে রোগীর ঠিকানায় পাঠিয়েছেন। সত্যিকারের পজেটিভ রোগী পেয়েছে নেগেটিভ সনদ আর নেগেটিভ রোগী পেয়েছে পজেটিভ সনদ। ফলে পজেটিভ রোগী নেগেটিভ সনদ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করে মানুষের সংস্পর্শে গিয়ে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আর নেগেটিভ রোগী পজেটিভ সনদ নিয়ে আইসোলেশনে ছিল। এ ছাড়া জাল সনদ নিয়ে ইতালি গিয়ে ধরা পড়েছে অনেক প্রবাসী। এতে করে বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতারণার মাধ্যমে তারা আট কোটি টাকার মতো হাতিয়ে নিয়েছে। তাই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে- তারা কী উদ্দেশ্যে প্রতারণার এই পথ বেছে নিয়েছিলো। বিশেষ করে সাবরিনা একজন সরকারি চিকিৎসক হয়েও এমন জঘন্যতম একটি কাজ করেছেন। তাদের এই কাজে আর কে কে সহযোগী ছিল। কারা তাদেরকে কীভাবে সহযোগিতা করেছেন। তাদের কার কি সম্পৃক্ততা আছে, প্রতারণার অর্থের ভাগ তারা পেয়েছেন কিনা- এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্সের আগে জেকেজি কীভাবে করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ পেলো। তাদের প্রতিষ্ঠানের বৈধতা কতটুকু ছিল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যে শর্তাবলী দেয়া হয়েছিল সেগুলো তারা কতটুকু পালন করেছে এসব বিষয় তদন্ত করে দেখা হবে।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডা. কামরুল হাসান মিলন: বুধবার মানবজমিনের প্রথম পাতায় প্রকাশিত ‘আলোচনায় সাবরিনা মিলনের অন্তরঙ্গতা’ শীর্ষক শিরোনামের সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন। তার স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেছেন, একটি কুচক্রীমহল সত্য গোপন করে ও যথার্থতা যাচাই না করে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রদান করে সংবাদ প্রকাশ করে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করেছে এবং এর মাধ্যমে আমার সম্মানহানি হচ্ছে। উক্ত মিথ্যা সংবাদ দেখে আমি বিস্মিত, হতবাক ও মর্মাহত হয়েছি। আমি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছি। সংবাদে বলা হয়েছে, আমি নাকি বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে না থেকেও নামফলক ও রুম দখল করে আছি। আমি গত ২০১৪ সালের পহেলা আগস্ট থেকে কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। ২০১৯ সালের ২রা জুলাই প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক ও একটি কুচক্রীমহল ষড়যন্ত্র করে আমার অধীনস্থ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রামপদ সরকারকে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দপ্তরাদেশ প্রদান করে। এর প্রতিবাদে আমি আইনের আশ্রয় গ্রহণ করি। যা এখনো বিচারাধীন। উল্লেখ্য যে, অত্র প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্লক ৩৪৩ কক্ষটি বিভাগীয় প্রধানের কক্ষ হিসেবে বরাদ্দ হয়। বিগত বিভাগীয় প্রধানগণ যখন দায়িত্ব পালন করেছিলেন তারা উক্ত কক্ষটি ব্যবহার করতেন। আমি বিভাগীয় প্রধান হওয়ার পর থেকে আমার নামে বরাদ্দকৃত কক্ষটি ব্যবহার করে আসছি। উক্ত বিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অবগত আছেন। প্রতিবাদে তিনি আরো বলেছেন, সংবাদে পুরনো একটি বিষয়কে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা এবং নানাভাবে চরিত্র হরণের অপচেষ্টা আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই না বলে প্রতীয়মান হয়। এ ছাড়া জেকেজি’র কার্যক্রমের অনিয়মের সঙ্গে আমার ছত্রছায়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি সকল স্তরের চিকিৎসক, সহকর্মী, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সমভাবে আচরণ করি। উল্লেখ্য, গত ৮ই মার্চ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে সকল প্রকার চিকিৎসা চালু থাকলেও কার্ডিয়াক সার্জারির সকল প্রকার অপারেশন বন্ধ রয়েছে। যেখানে হার্ট ফাউন্ডেশন ও অন্যান্য হাসপাতালে অপারেশন নিয়মিত চলছে। এ ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে কথা বলায় আমি কুচক্রী মহলের রোষানলে পড়ি। যার কারণে তারা আমাকে নিয়ে এসব মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচারে সহযোগিতা করে আসছে। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।