ঢাকা: করোনাভাইরাসের ঝুঁকির কারণে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত মসজিদে আদায় করাসহ এ সংক্রান্ত ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয় এসব নির্দেশনা জারি করে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটি এসব নির্দেশনা বান্তবায়ন করবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদুল আজহার নামাজের জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে কাছের মসজিদে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত আদায় করা যাবে। ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজুর সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
মসজিদে ওজুর স্থানে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে রাখা জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে। শিশু, বৃদ্ধ, যেকোনো ধরনের অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করবেন না। সর্বসাধারণের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো যাবে না। পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়। মসজিদ কমিটি ও সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে করোনা থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ দোয়া করতে ইমামদের প্রতি পরামর্শ দেয়া হয়েছে।