গাজীপুর:পুলিশের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দৈনিক যোগফলের সম্পাদক প্রকাশক অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ বাদল জামিন পেয়েছেন।
রোববার [১২ জুলাই ২০২০] গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম এক হাজার টাকার মুচলেকায় ওই জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার [৯ জুলাই] আসাদুল্লাহ বাদলের জন্য আত্মসমর্পন সাপেক্ষে জামিনের দরখাস্ত দাখিল করা হয়। রোববার ওই দরখাস্ত শুনানীর জন্য ধার্য হয়। গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির উদ্দীন আহম্মদ ও অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু আদালতে শুনানী করেন।
এ সময় সামাজিক দূরত্ব মেনে আদালত কক্ষ ও করিডরে বারের সাবেক সভাপতি খালেদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসাইন, ক্রীড়া সম্পাদক ইকবাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আজিজুর রহমান বাবুল, আতিকুুর রহমান ভুঞা, রবিউল আলম, সরোয়ার ই কায়নাত, তানজিমা সুলতানাসহ প্রায় ৫০ জন আইনজীবী অপেক্ষমান ছিলেন।
গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস ছোবহান এনজিওগ্রাম করার কারণে আদালত ভবনে পৌঁছাতে সক্ষম না হলেও তিনি ভবনের নিচে থেকে আইনজীবীদের শুনানীতে অংশ নেওয়ার তদারকি করেছেন।
আইনজীবী রফিকুল ইসলাম আদালতকে বলেন, ওই মামলার সময় ৩১ মে রাত এগারোটা ২০ মিনিটের আগে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এফআইআর এ। মামলার এজাহারের সঙ্গে যে স্ট্যাটাসের স্কিনশট যুক্ত করা হয়েছে তা ‘৩১ মে রাত এগারোটা ২০ মিনিটের আগে’ নয়। তিনি বলেন এটি ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার মতো। এছাড়া কোন সংবাদ প্রকাশের আগেই কোন পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশককে আসামি করার কোন রেওয়াজ নেই।
জামিনের বিরোধীতা করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মীর রাকিবুল হক ‘ধান ভানতে শিবের গীতে’র মতো একটি প্রসঙ্গ আদালতে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এর আগে আদালতের একটি নিউজ অনলাইনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। যোগফলে গত আড়াই বছরে গাজীপুর আদালতের ওই রকম কোন নিউজ প্রকাশ হয়নি। যোগফল অনুসন্ধানে জানা গেছে, বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকমে মামলা নিস্পত্তিতে গাফিলতি ও গারদের অনিয়ম নিয়ে একটি নিউজ প্রকাশ হয়। যেটি তিনি যোগফলে ওপর চাপাতে চেয়েছেন।
এ জাতীয় অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য প্রসঙ্গে বিচারক হামিদুল ইসলাম বলেন, “কারা কি করে আমরা তা জানি।”
ওই মামলায় যোগফলের স্টাফ রিপোর্টার মো. মোজাহিদ, সদর প্রতিনিধি রুকনুজ্জামান খান ও দৈনিক মুক্তবলাকার স্টাফ রিপোর্টার মিলন শেখ কারারুদ্ধ রয়েছেন।
জয়দেবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসাইন চার লাখ টাকা ঘুস নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন শিরিরচালা গ্রামের বাসিন্দা সাহিদা আক্তার। তার ওই অভিযোগ ভিডিয়ো আকারে যোগফল মর্গে রয়েছে। সাহিদা আক্তারও ওই মামলার আসামি। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।