ঢাকা: ব্যাবধান মাত্র ১২ দিনের। বাংলাদেশের শিল্প ও মিডিয়া সাম্রাজ্যের দুই অধিপতি বিদায় নিলেন। পয়লা জুলাই লতিফুর রহমান আর আজ নুরুল ইসলাম বাবুল। দুজনের বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুণ দুরকম হলেও শত শত সাংবাদিক, গণমাধ্যম কর্মী ও শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে যে বিশাল অবদান রেখেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ শূন্যতা কী প্রভাব ফেলে তা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কুশল বিনিময় ছাড়া
লতিফুর রহমানের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোন স্মৃতি নেই। তবে নুরুল ইসলাম বাবুলের সঙ্গে নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় বেশ যোগাযোগ ছিল। পরে ১৯৯৮ সালের দিকে মতিঝিলে সেনাকল্যাণ ভবনের ১১ তলার অফিসে বসে যুগান্তর পত্রিকা প্রকাশ নিয়ে একাধিক দফায় মতবিনিময় হয়েছিল। এক পর্যায়ে দৈনিক ইনকিলাবে আমার সিনিয়র সহকর্মী সাইফুল ভাইয়ের ( যুগান্তরের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক) মাধ্যমে টিম অর্গানাইজ শুরু হলে আমি নিজে থেকে সরে আসি।
তার আগে গাজীপুরে যমুনা ফ্যান কারখানায় একটি বড় অঘটনকে কেন্দ্র করে বছরখানেক নিয়মিত তিনি যোগাযোগ রেখেছিলেন। অম্লমধুর অনেক স্মৃতি আছে যা আজ প্রাসঙ্গিক নয়। সর্বশেষ দেখা যুগান্তরের বিগত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে। বক্তব্যটাও বেশ উপভোগ করেছি। বিএফইউজের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া হাতে তুলে দিয়ে বিদায় নিয়েছি।
করোনা দুর্যোগে যমুনা গ্রুপের মিডিয়া কর্মীরা নিয়মিত বেতন-বোনাস পাচ্ছিলেন জেনে ভালো লেগেছে। একবার ভেবেছিলাম ফোন করে ধন্যবাদ দেবো। তা আর হয়নি। আবার চাকরিচ্যুত ও চাকরি ছেড়ে যারা বিদায় নিয়েছেন তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ আছে।
দোষে গুণে মানুষ। আল্লাহ তাঁর ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে ভালো কাজের উসিলায় জান্নাতবাসী করুন।