সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টানা বৃষ্টিপাতের কারণে টাঙ্গাইলের যমুনা, ধলেশ্বরী, ঝিনাইসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। আজকে সোমবার সকাল থেকে ওই তিনটি নদ–নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর এতে চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী অন্তত ১৪১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ৮৪ হাজার ৭১২ মানুষ।
টাঙ্গাইল জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায় যে, “সোমবার সকাল থেকে ধলেশ্বরী নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার, যমুনা নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদের পানি ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।”
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিজ্ঞান শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেছেন, “ভারী বর্ষণের ফলে নতুন করে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।”
জেলা প্রশাসনের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সুত্রে জানা যায় যে, “জেলায় এখন পর্যন্ত টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, দেলদুয়ার, ভূঞাপুর, কালিহাতী ও গোপালপুর উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের অন্তত ১৪১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর এ দিকে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভা আংশিক এলাকা ডুবে গেছে। এতে প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। নদীতে পানি বাড়ায় গত জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত ৬০১টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আর ১ হাজার ২৯৯টি ঘরবাড়ির আংশিক নদীতে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া নাগরপুরে একটি স্কুল নদীর গর্ভে চলে গেছে।”
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, “নতুন করে নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০৮ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।”