ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র নষ্ট করে দিয়ে গেছে ১৯৭৫-এর পর যারা রাতের অন্ধকারে অস্ত্রহাতে নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তারাই, কারণ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেই ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য এরা মানুষকে দুর্নীতি শিখিয়েছে, কালো টাকা শিখিয়েছে, ঋণ খেলাপী শিখিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে একাদশ সংসদের ৮ম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সংসদ নেতা একথা বলেন।
করোনা মোকাবেলা ডাক্তার-নার্সদের সুযোগ সুবিধা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডাক্তার-নার্স নিয়োগ করা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে যথেষ্ট বেড এবং সব রকম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডাক্তার-নার্স এবং টেকনিশিয়ান যারা কাজ করছে তাদেরকে তাদের পরিবার থেকে আলাদা করে রাখার জন্য হোটেল ভাড়া করে থাকা খাওয়ার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে খরচ তো হবেই। তবে বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র নষ্ট করে দিয়ে গেছে ১৯৭৫ এর পর যারা রাতের অন্ধকারে অস্ত্রহাতে নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তারাই।
সংসদ নেতা বলেন, তারা সমাজকে কুলষিত করে দিয়ে গেছে।
মানুষ যে একটা আদর্শ ও নীতি নিয়ে চলতো। দীর্ঘদিন মিলিটারি ডিকটেটরশীপ এদেশের মানুষের চরিত্র হনন করেছে। কারণ অবৈধ ক্ষমতাটাকে নিষ্কন্টক করা- এটাই ছিল তাদের লক্ষ্য। এভাবেই বছরের পর বছর দুর্নীতির বীজ। বপন করেছে। এটা এখন মহিরুহু হয়ে গেছে, আপনি যতই কাটেন আবার কোথা থেকে গজিয়ে যেনো ওঠে। কারণ তারা মানুষের চরিত্রটাই নষ্ট করে দিয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে এই চরিত্রহীনতা একেবারে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত ছিল। সেখানে থেকে যতই চেষ্টা করেন এটা মূলউৎপাটন করা যথেষ্ট কঠিন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর কে কোন দলের সেটা বড় কথা নয়, বরং যারাই এ ধরনের দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, আমরা তাকেই ধরছি। আবার চোর ধরছি বলে, চোর হয়ে যাচ্ছি। আমরাই ধরি আবার আমাদেরকেই দোষারোপ করা হয়। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য। এর আগে তো দুর্নীতিটাই নীতি ছিল। অনিয়মটাই নিয়ম ছিল, সেভাবেই রাষ্ট্র চলেছে।
তিনি বলেন, আমরা আসার পর সেগুলো মোকাবেলার করার চেষ্টা করছি, যতটুক পারি সেগুলো শুদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আগেই বলেছি, আমরা এই অনিয়মগুলো মানবো না। যেই হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেবো। এটা অব্যাহত থাকবে।