ঢাকা: দেশে করোনায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বাড়ছে শনাক্তের হারও। গত কয়েকদিন নমুনা পরীক্ষা কম হলেও শনাক্তের হার ঠিকই প্রতিদিন বেশি দেখা যাচ্ছে। এখন প্রতি ১০০ জনে ২২ জনের উপরে শনাক্ত হচ্ছেন। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর মিছিলে আরো ৪৬ জন যোগ হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো দুই হাজার ১৯৭ জনে। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৪৮৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন এক লাখ ৭২ হাজার ১৩৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৭৩৬ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮০ হাজার ৮৩৮ জন। গতকাল করোনা নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৬৭২টি। এখন পর্যন্ত আট লাখ ৮৯ হাজার ১৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
মৃত্যু ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৭৪১ জন এবং নারী ৪৫৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন, বরিশাল বিভাগে তিন জন, রাজশাহী বিভাগে তিন জন, খুলনা বিভাগে ৯ জন, সিলেটে চার জন এবং রংপুরে এক জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৮ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৮ জন।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে এক জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুই জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭৯২ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৬ হাজার ৮৫৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮০৯ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১৬ হাজার ২৮৭ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৩৩ হাজার ১৪৩ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৬৯১ জনকে। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৪ হাজার ২৯৯ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৪ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ২১ হাজার ৩০১ জন। এখন মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬২ হাজার ৯৯৮ জন।
এদিকে স্বাস্খ্য অধিদপ্তরের গত সাত দিনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পরীক্ষা কম হলেও শনাক্তের হার বাড়ছে। গত ৭ই জুলাই শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এই দিন শনাক্ত হন ৩ হাজার ২৭ জন এবং নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৩ হাজার ১৭৩টি। ৬ই জুলাই শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৪৭ শতাংশ (শনাক্ত হন ৩ হাজার ২০১ জন) এবং পরীক্ষা হয় ১৪ হাজার ২৪৫টি। ৫ই জুলাই শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ(শনাক্ত হন ২ হাজার ৭৩৮ জন) এবং পরীক্ষা হয় ১৩ হাজার ৯৮৮টি। ৪ঠা জুলাই শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ(শনাক্ত হন ৩ হাজার ২৮৮ জন) এবং পরীক্ষা হয় ১৪ হাজার ৭২৭টি। ৩রা জুলাই শনাক্তের হার ২১ দশমিক ২৬ শতাংশ(শনাক্ত হন ৩ হাজার ১১৪ জন) এবং পরীক্ষা হয় ১৪ হাজার ৬৫০টি। ২রা জুলাই শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ(এই দিন শনাক্ত হন ৪ হাজার ১৯ জন) এবং নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৮ হাজার ৩৬২টি।