বিল্লাল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদী জেলায় প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয় চলতি বছরের ৬ এপ্রিল পলাশ উপজেলার ডাংগার ইসলাম পাড়ায়। ঠিক সেই মুহূর্তে খবর পেয়ে ঐ এলাকায় রাতের আঁধারে জীবনের মায়াকে তুচ্ছ করে ছুটে চলেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। এখান থেকেই শুরু হলো ওসির করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। পলাশ উপজেলার জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজও দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ওসি শেখ মো. নাসির উদ্দিন।
একের পর এক করোনা রোগী বাড়তে থাকে উপজেলায়। সেই সাথে ব্যস্থতাও বাড়তে থাকে তাঁর। জীবন যুদ্ধে এক আপোষহীন সাহসী সৈনিক ও অকুতোভয় যোদ্ধা ছুটে যাচ্ছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। রাতদিন চলছে তো চলছেই। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও উপজেলার জনগণের কল্যানে এ যেন এক নিবেদিত যাত্রা। মৃত্যুর মিছিলে যখন যুক্ত হচ্ছে মানুষের লাশের সাড়ি। আর এ ভয় ও আতংক নিয়ে পলাশবাসীর সময় কাটছে।
কিন্তু এসব ভয় ও আতংক কখনো পিছু টানেনি তাকে। মানুষকে করোনা থেকে বাঁচাতে ও সচেতন করতে শুরু থেকেই লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, বাজার মনিটরিং, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা, লকডাউন ও হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করা, রাতের অন্ধকারে অসহায় পরিবারের ফোন পেয়ে তাদের মাঝে খাবার পৌছে দেওয়া, সুবিধাবঞ্চিত সব শ্রেণী পেশার মানুষকে নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে দিয়েছেন মানবিক খাদ্য সহায়তা। এখনো যখন থামছেনা করোনাভাইরাস, তারও বাড়তি কাজের চাপ ইতি টানার সুযোগ নেই।
তিনি জানান, মানুষ মানুষের জন্য এই কথাটি সব সময় মনে রেখেই সব ক্লান্তি দূরে ঠেলে করোনা নামক এক অদৃশ্য বস্তুর সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। জানিনা কতটুকু পলাশবাসীর মনে আস্থা অর্জন করতে পেরেছি। কিন্তু দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি যেন করোনা নামক এই অদৃশ্য বস্তু তাদের সংস্পর্শ না করতে পারে। এ পর্যন্ত এ উপজেলায় দুই জনের মৃত্যু ও ১২৭ জন আক্রান্ত হয়েছে।
এ মিছিল যেন আর বড় না হয় সেজন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, সকল দুর্যোগময় মুহূর্তে বাংলাদেশ পুলিশ পূর্বের ন্যায় সকলের পাশে আছে এবং থাকবে। করোনা প্রতিরোধে সামনের দিনগুলো ধৈর্য্য ধরে সবাইকে সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি চলতে হবে। সবাই সচেতন হলে ইনশাল্লাহ আল্লাহ আমাদের এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিবেন।