দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন এবং পত্রিকাটির সাংবাদিক সেলিম সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে গুলশান থানায় মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৌমিত্র সরদার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, জাতীয় সংসদসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ পত্রে ব্যারিস্টার সৌমিত্র নিজেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী উল্লেখ করে বলেন, গত ২৬ জুন (শুক্রবার) দৈনিক ইনকিলাবের অনলাইন সংস্করণে ’এইচ টি ইমামকে সরিয়ে দিন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার, জাতীয় সংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সম্পর্কে চরম আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, বিকৃত ও মানহানিকর তথ্য প্রদান করা হয়েছে। প্রতিবেদনটির মূল উদ্দেশ্য দেশে বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে দেশের অভ্যন্তরে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ইনকিলাবের ওই প্রতিবেদনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের এমপি হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করা হয়। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিকৃত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। মূলত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ম্লান করার জন্য এটি করা হয়েছে।
ইনকিলাবের প্রতিবেদনে জাতীয় সংসদের চরম অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে উল্লেখ করে অভিযোগে বলা হয়, ইনকিলাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, “গৃহপালিত বিরোধী দল থাকায় বর্তমান সংসদ নিয়ে মানুষের তেমন আগ্রহ নেই।” যা মহান জাতীয় সংসদ সম্পর্কে একটি ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য। এমন মন্তব্য কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এই উক্তির মাধ্যমে পত্রিকাটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার সৌমিত্র সরদার সমকালকে বলেন, মিথ্যা, মানহানিকর ও আক্রমণাত্মক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সম্পর্কে চরম আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, বিকৃত ও মানহানিকর তথ্য প্রদান করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এজন্য সরকারের একজন শুভাকাঙ্খী হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর (২৫), (২৯) এবং (৩১) নং ধারায় মামলাটি দায়ের করেছি। গুলশান থানার মামলাটির নম্বর ২২।
তিনি আরও জানান, প্রতিবেদনের তথ্যগুলো মিথ্যা জানা সত্ত্বেও দৈনিক ইনকিলাব সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অংশ হিসেবে এগুলো প্রচার করছে। রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতরে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি করার জন্যই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এই কথা গুলো বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনটিতে বিকৃত, মিথ্যা, অপমানজনক, আক্রমণাত্মক ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরেও অসন্তোষ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করা হয়।