সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে বেড়েছে মা মাছের সংখ্যা। এতে জেলেদের পাশাপাশি স্থানীয় মৎস্য শিকারীরা বিভিন্ন পন্থায় মাছ শিকার করছেন যমুনা নদী থেকে। আর এতে মা মাছগুলো ধরা পড়ছে বেশি। যদিও নিধনের বিষয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি উপজেলা মৎস্য অফিস।
এদিকে জানা গেছে, “উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এতে বিভিন্ন এলাকার মৎস্য খামার ও পুকুর তলিয়ে গিয়ে মাছগুলো যমুনা নদীতে চলে আসছে। ফলে ঝাঁকে ঝাঁকে নদীতে চলে আসা এসব মাছগুলো শিকার করছেন জেলে ও মৎস্য শিকারীরা। আর এতে মা মাছ ধরা পড়ছে বেশি। যদিও নদীতে এ সময়ে বিভিন্ন প্রজাতি মাছের প্রজনন ও বংশ বিস্তার করে এই মৌসুমে। সম্প্রতি গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার খানুরবাড়ী এলাকার কয়েকজন মৎস্য শিকারী যমুনা নদী থেকে ২৬টি মা বোয়াল মাছ শিকার করে।”
এছাড়াও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, “মা মাছ নিধনের আইনের প্রয়োগ না থাকায় যমুনা নদীর ভূঞাপুর অংশে বিভিন্ন এলাকার জেলে ও মৎস্য শিকারীরা মা মাছ ধরে নিধন করছে।”
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে যে, “এ উপেজলায় তালিকাভুক্ত ও কার্ডধারী প্রায় ১ হাজার ২’শ জেলে পরিবার রয়েছে। জেলে তালিকায় অন্তভুক্তে বাহিরে প্রায় ৬’শ জেলে আবেদন করে রেখেছেন। এদের মধ্য বেশী ভাগই জেলের ১৮ বছর না হওয়ায় তালিকায় অন্তভুক্ত করা হয়নি। তবে এবছর যাচাই-বাচাই করে জেলেদের তালিকাভুক্তের আওতায় আনা হবে।”
উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের কর্মকর্তা ড. মো. হাফিজুর রহমান বলেছেন, “এ উপজেলার যমুনা নদীর অংশে পানি বৃদ্ধিতে মা মাছগুলো অল্প পানিতে চলে আসছে। শুধু ইলিশ মাছ ছাড়া সাধারণত আষাঢ় মাসে বিভিন্ন মা মাছ প্রজনন ও পোনা দেয়। এসময়ে যেসব জেলেরা মাছ নিধন করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসলাম হোসাইন জানিয়েছেন, “মা মাছ নিধনরোধেও বিভিন্ন আইন রয়েছে। কিন্তু উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের কর্মকর্তা এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেনি।”