করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরো তিন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তারা ঢাকা, দিনাজপুর ও চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন। গতকাল সকাল ৮টায় কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় মারা যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের অবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আশরাফুজ্জামান। আর সোয়া ৮টার দিকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান ওই হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. মো. শাহ আব্দুল আহাদ। অন্যদিকে মঙ্গলবার রাত চারটায় চট্টগ্রামের আরেক চিকিৎসক ডা. নুরুল হকের মৃত্যু হয়। তারা সবাই করোনা সংক্রমিত ছিলেন বলে বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ শেখ শহীদ উল্লাহর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডা. আশরাফুজ্জামানের বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। আর বিএমএ দিনাজপুর শাখার সাবেক সভাপতি ডা. শাহ আবদুল আহাদের বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
অন্যদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম চিকিৎসক মেট্রোপলিটন হাসপাতালের সিনিয়র আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক মারা গেছেন।
হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. আব্দুর রব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত ডা. নুরুল হক গত তিনদিন ধরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাকে প্লাজমা থেরাপিও দেয়া হয়েছিল। গতকাল শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।’ ডা. নুরুল হক গত ১৯ বছর ধরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
বিএমএর তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত দেশে চিকিৎসক, নার্সসহ ৩ হাজার ২৩৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক আছেন এক হাজার ১৯ জন। ৩১ জন চিকিৎসক কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে এবং পাঁচজন এ ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।