করোনাভাইরাস টেস্টের জন্য গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট সম্পূর্ণ কার্যকর নয় বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রতিবেদন জমা দেয় গণস্বাস্থ্যের কিটের সক্ষমতা যাচাই কমিটি। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে কমিটির প্রতিবেদন গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
এর আগে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে পারফরম্যান্স কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বিএসএমএমইউ সূত্রে আগে বলা হয়েছিল, পারফরম্যান্স কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কিটের ব্যাপারে তাদের অবস্থান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। কমিট তা সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হবে বলে সূত্র জানায়। এর আগে গত ২৫ মে রাতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুরোধে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত জিআর কোভিড-১৯ টেস্ট কিটের ট্রায়াল স্থগিত করা হয়েছিল। জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকারের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃক ২৬ মে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ টেস্ট কিটের ট্রায়ালের জন্য ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহের জন্য যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুরোধে তা স্থগিত করা হলো। সরকারের অনুমোদন পেলেই পুনরায় পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ১৭ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পরীক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণায় কিট উৎপাদনের কথা জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
১৯ মার্চ কিট উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন, ড. ফিরোজ আহমেদ এই কিট তৈরি করেন।