যশোর: যে বয়সে বাবা-মা অথবা নিকটতম আত্মীয়ের হাত ধরে, কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, রাষ্ট্রীয় প্রশাসন এ বিষয়ে জোর তাগিদ দিচ্ছে। কিন্তু অনেক স্থানে লক্ষণীয় চোখে পড়ার মতো এমন কিছু দৃশ্য আমাদের দৃষ্টি কাড়ে। যা দেখলেও সচেতন মানুষ সহসা বুঝে ফেলে। এটা প্রশাসনের বজ্র আটুনি, ফসকা গেরোর মতো অবস্থা। স্টাইলের কথাবার্তা প্রতিটি শিশুকেই স্কুলগামী, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত তথা সুরক্ষিত করার দায়িত্বের কথাটি আমাদের মহান সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তব প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সর্বনাশা মাদকের ছোবলে যুবক বয়স্কদের পাশাপাশি স্কুলগামী ও পথশিশুরা আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের ছোবলে আক্রান্ত হয়ে অন্ধকারের জীবনে হারিয়ে যাচ্ছে শিশুরা। এসব শিশুদের মধ্যে বেশী ভাগই নিম্মবিত্ত পরিবারের সন্তান। যাদের বয়স ৮, ৯, ১০ থেকে ১৫ বছর। ধূমপানের পাশাপাশি এসব পথশিশুরা গাঁজা, ফেন্সিডিল, চোলাই মদ সহ সর্বনাশা হেরোইনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। স্কুলগামী শিশুদের সাথে সাথে পথশিশুরা উপজেলা শার্শার বিভিন্ন স্পটে মাদক সেবন করছে। দিনের আলোতেও এ সব শিশুদের বিভিন্ন চায়ের দোকানে প্রকাশ্যে ধূমপান করতে দেখা যায়। কিছু অসাধু মাদক ব্যবসায়ী এ সমস্ত স্কুলগামী ও পথশিশুদের দিয়ে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে শিশুরা শুধু মাদক সেবন করেই নষ্ট হচ্ছে না, নিজেরা এক এক জন মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত হচ্ছে। সচেতন মহল উক্ত বিষয়টির উপরে প্রশাসনের আশু-হস্থক্ষেপ কামনা করছে। আমরা দেখতে চায়না কোন শিশু মাদকসেবীকে।