ঢাকা: আজ দুপুরেও বহু মানুষের আক্রান্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাওয়া যাবে। মৃত্যুর মিছিলে যোগ হবে নতুন নতুন নাম। সংখ্যাটি কত তা নিয়েই কেবল কৌতূহল। বলে রাখা ভালো এটা কেবল কেতাবের হিসাব। বহু মানুষের আজকের দিনটিও হাসপাতালে কাটবে। এরইমধ্যে যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের বাড়িতে কান্নার রোল ওঠবে। আইসোলেশনে থাকবেন কয়েক হাজার মানুষ। সন্তান যেতে পারবেন না বাবা- মায়ের কাছে, বাবা-মা যেতে পারবেন না সন্তানের কাছে।
এমনই এক অভূতপূর্ব পরিস্তিতিতে বাংলাদেশে আজ উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
বাহাসপ্রিয় বাঙালিও মেনে নিয়েছেন এমন ঈদ তাদের জীবনে কোনো দিন আসেনি। ঈদগাহে কোন জামাত হচ্ছে না। সীমিত পরিসরে মসজিদগুলোতে আদায় হচ্ছে ঈদের নামাজ। যেখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ বেশ কিছু নিয়ম মানতে হচ্ছে।
আজ ঈদ। অথচ কোথাও আনন্দের ঘণ্টা বাজছে না। সবার মনই যেন বিষন্ন। নতুন এক বাস্তবতায় মানুষের জীবনই যে শুধু বিপন্ন তা নয়, তার জীবিকা নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে জীবিকার জন্য ছুটছে মানুষ। সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তেও নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সামনের দিনগুলো আরো ভয়ঙ্কর হবে তা স্পষ্ট। শত বিপর্যয়েও সভ্যতা বাঁচে। যদিও একদিন সব শেষ হয়ে যাবে। বিজ্ঞানও যা কবুল করে নিয়েছে।
আগেই বলেছি চরম এক বিপর্যয়কর মুহূর্তে আজ উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ। ঈদ এসেছে, অথচ হাসি নেই, কোলাহল নেই, কোলাকুলি নেই। তবুও সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক। জীবন থেমে থাকে না। এই বিপর্যয় নিশ্চয় একসময় কেটে যাবে। পৃথিবী আবার ফিরে যাবে স্বাভাবিক সময়ে। পরীক্ষার মুখােমুখি হওয়া আমাদের জীবনে প্রতিশ্রত বিষয়। আর মুমিনদেরতো হতাশ না হওয়ার স্পষ্ট নির্দেশনাই দেয়া হয়েছে। আমরাতো আল্লাহরই এবং নিশ্চয় আমরা তারই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী