ঢাকা: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে ২৬ টি জেলায় এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১১শ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাসমূহ হচ্ছে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা ।
মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ব্রিফিংকালে বৃহস্পতিবার তিনি একথা বলেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন উপস্থিত ছিলেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব জেলায় ঘরবাড়ি প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি ও নষ্ট হয়েছে । এসব ঘরবাড়ি সংস্কার ও নির্মাণে প্রতি জেলায় ৫শ বান্ডিল টিন এবং ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ত্রাণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও পটুয়াখালীতে পাট, আম, লিচু ও মুগ ডালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । ধানের তেমন ক্ষতি না হলে আমের ১৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে । ২শটি ব্রিজ ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার বেশির ভাগ বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলায় অবস্থিত । প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৮৪ টি জায়গায় বাঁধে ফাটল ধরেছে । ক্ষতিগ্রস্ত এসব ফাটল ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামীকাল থেকে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করবে বলে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অনেক জায়গায় ডাক বিভাগের টেলিফোন লাইন সমূহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে যা শীঘ্রই মেরামত করা হবে ।
যেহেতু এবার প্রচুর সংখ্যক গবাদি পশুকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছিল তাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি । তবে মৎস্য চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫শ চিংড়িঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে , যার অর্থমূল্য প্রায় ৩২৫ কোটি টাকা । প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের এবং খাদ্য বিভাগের তেমন ক্ষতি হয়নি । গণপূর্ত বিভাগের সামান্য ক্ষতি হয়েছে ।
প্রতিমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন । এদের মধ্যে পটুয়াখালীতে দুইজন, যশোরে তিনজন, ভোলায় একজন, পিরোজপুরে একজন, সাতক্ষীরায় একজন, এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় দুইজন মৃত্যুবরণ করেছেন ।