কিশোরগঞ্জ: প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গতকাল এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সারওয়ার মোর্শেদ চৌধুরী। এর আগে ঈদ জামাতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত বৃহস্পতিবার আলেম-ওলামাদের সঙ্গে বৈঠক করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বৈঠকের পরে করোনাভাইরাসের কারণে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত এবার ঈদগাহে করা যাবে না বলে জানায় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জেলা প্রশাসকের ফেসবুকে প্রচার করা হয়। জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্যও অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারি করা নির্দেশনা ও বিশেষ সতর্কতামূলক বিষয়াদি অনুসরণপূর্বক শর্তসাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আদায়ের জন্য অনুরোধ করা হয়।
এতে বলা হয়, ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ জামাতে আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিজনিত ওজরের কারণে মুসল্লিদের জীবনঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হয়। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৮২৮ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহে প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ১৯৩তম ঈদুল ফিতরের বড় জামাত। ঈদগাহের মুতওয়াল্লি দেওয়ান ফাত্তাহ দাদ খান জানান, ঈদগাহের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত শোলাকিয়ায় কোনো ঈদের জামাত বন্ধ হয়নি।
এবারই করোনাভাইরাসের কারণে ঈদের জামাত বন্ধ করা হলো। তিনি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ এবং দেশ ও দেশের জনগণের জন্য দোয়া করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করেন।