গত বছরের ১৭ জানুয়ারি বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গিয়েছিলেন।
আজ তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে দুই বাংলায় ভক্তরা এ মহানায়িকাকে মনে-প্রাণে স্মরণ করছেন।
দিনটি ছিল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান সবার প্রিয় সুচিত্রা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
মহানায়িকার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মতো বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী এই মহানায়িকার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালদো জিয়া।
তবে অভিনয় থেকে অবসর নেয়ার পর থেকেই মিডিয়াতে নিজেকে আড়াল করে রাখেন ৮৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।
১৯২৯ সালে বাংলাদেশের পাবনার জন্ম নেয়া রমা দাশগুপ্ত পরে সুচিত্রা নাম নিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রীতে পরিণত হন।
উত্তম কুমারের সঙ্গে জুঁটি বেধে তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো আজও বাঙালির হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
১৯৫২ সালে ‘শেষ কোথায়’ নামে চিলচ্চিত্র দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রুপালী জগতের যাত্রা শুরু হয় সুচিত্রা সেনের। হিন্দি ছবিতে অভিনয় করে সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন এই অভিনেত্রী। ‘দেবদাস’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৫৫ সালে জাতীয় পুরস্কার ও অর্জন করেন তিনি।
এছাড়াও ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৬৩ সালে ‘মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে’ সেরা অভিনেত্রীর সম্মান পান তিনি। আর এই সম্মানের মধ্য দিয়ে প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হন সুচিত্রা সেন। ১৯৭৮ সালে ‘প্রণয় পাশা’ ছবিতে সর্বশেষ অভিনয় করেন সর্বকালের জনপ্রিয় এই নায়িকা।
সুচিত্রা অভিনীত উল্লেযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে, শাপমোচন, সাগরিকা, পথে হলো দেরি, দ্বীপ জেলে যাই, সবার ওপরে, সাড়ে চুয়াত্তর, সাত পাকে বাঁধা, দত্তা, গৃহদাহ, রাজলক্ষ্মী-শ্রীকান্ত ইত্যাদি।
হিন্দি চলচ্চিত্র আঁধিতে তার অভিনয়ও প্রশংসনীয়। শিল্পপতির ছেলে দীবানাথ সেনকে বিয়ে করেন সুচিত্রা। মুনমুন তাদের একমাত্র সন্তান। তার নাতনি রাইমা সেন, রিয়া সেন।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন তার মনোমুগ্ধকর ছবির মাধ্যমে চিরজীবন বেঁচে থাকবেন সবার মাঝে।
তার হাজার ভক্তদের পক্ষ থেকে মৃত্যু দিনে তার প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা। ভালো থাকো সুচিত্রা।