মো: সাজ্জাত হোসেন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি: কালীগঞ্জে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে লকডাউন থাকায়, স্থানীয় কৃষকেরা শ্রমিকের অভাবে এখন ধান কেটে, মারাই করে গোলায় তুলতে হিমসিম খাচ্ছে। এরই মাঝে ১০ই মে রবিবার শেষ বিকেলে প্রায় পাঁচটা থেকে সোয়া ছয়টা পর্যন্ত, একাধারে সোয়া এক ঘন্টার মতো ধমকা হাওয়ার সাথে শিলা বৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে রবিবার শেষ বিকেলে কালীগঞ্জের তুমুলিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড পুইনারটেক এলাকায় দেখা যায়, হঠাৎ করে দক্ষিণ দিক থেকে প্রচন্ড বেগে ধমকা হাওয়া বইতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে ধমকা হাওয়ার সাথে শিলা বৃষ্টি হওয়া শুরু করে। এতে মাঠে থাকা কৃষকের পাকা ধানের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি অনেকেরই বিভিন্ন ফলজ, ভেষজ ও বনজ গাছের ডালপালা ভেঙ্গে রাস্তায় পরে রয়েছে।
এ সময় পুইনারটেক এলাকার স্থানীয় কৃষক মোঃ জসিম উদ্দিন লাভলুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের কালীগঞ্জে কিছু দিন পূর্বে হঠাৎ করে করোনা রোগীর সংখ্যা বেরে যাওয়ার কারণে, সারা কালীগঞ্জ লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য বাইরের কোনো শ্রমিক ধান কাটতে এলাকায় আসতে পারছেনা। এতে করে আমার মতো অনেক কৃষকই মাঠের পাকা ধান কেটে আনতে পারছেনা।
তিনি আরো বলেন, এবার আমি ৪ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। আমার সব ধান পেকে গেছে। আমি আমার ছেলেকে নিয়ে মাত্র দেড় বিঘা জমির ধান কাটা শেষ করেছি। এখনো আড়াই বিঘা জমির পাকা ধান মাঠে পরে আছে। এরই মধ্যে এখন আবার ধমকা হাওয়ার সাথে শিলা বৃষ্টি হচ্ছে। দক্ষিণের বাতাস আর শিলা বৃষ্টিতে আমার সব পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাবে। এবার আমার কপালটাই খারাপ। এমনিতেই করোনার জ্বালায় জ্বলছি। তার মধ্যে আবার এমন বাতাস আর শিলা বৃষ্টি। এইটা “মরার উপর খাড়া ঢালা”র মতো হয়েছে।
এ সময় এখানে তারিকুল ইসলাম বাপ্পী সহ আরো কয়েক জন উপস্থিত ছিলেন।