মো: সাজ্জাত হোসেন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি: কালীগঞ্জে কোভিড-১৯ সংক্রমনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৮ জন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্তের খবর প্রচার হওয়ার পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে, ভয়ে ঠিকমতো নমুনা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছে না। তাই কালীগঞ্জের ৭ টি ইউনিয়নে ৭ কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি) নমুনা সংগ্রহের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ছাদেকুর রহমান আকন্দ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ছাদেকুর রহমান আকন্দ বলেন, কালীগঞ্জে করোনা সংক্রমনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৮ জন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্তের খবর সর্বস্তরে জানার পর থেকে সাধারণ মানুষ ভয়ে নমুনা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছেনা। তাই সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপির নির্দেশে, উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে ৭ টি কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি) নমুনা সংগ্রহের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকে (সিসি) কর্মরত কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোপ্রাইটরদের (সিএইচসিপি) ট্রেনিং করানো হয়েছে। সন্দেহ জনক কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সিএইচসিপিরা, সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন সকাল ১০.৩০ মিনিট হতে ১১.৩০ মিনিট পর্যন্ত সংগ্রহ করবেন।
তিনি আরো জানান, নমুনা সংগ্রহের জন্য উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে যে ৭ টি কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি) নির্বাচন করা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- ১. তুমুলিয়া ইউনিয়নের বোয়ালী কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি), ২. নাগরী ইউনিয়নের রয়েন সিসি, ৩. বক্তারপুর ইউনিয়নের বেরুয়া সিসি, ৪. জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া সিসি, ৫. বাহাদুসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া সিসি, ৬. জামালপুর ইউনিয়নের কাপাইশ সিসি ও ৭. মোক্তারপুর ইউনিয়নের বাঘুন সিসি।
৪ঠা মে সোমবার সকালে সরেজমিনে কালীগঞ্জের তুমুলিয়া ইউনিয়নের বোয়ালী সিসিতে কর্মরত সিএইচসিপি কর্মী এস.এম জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন সকাল ১০.৩০ মিনিট হতে ১১.৩০ মিনিট পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করে থাকি। পাশাপাশি আমরা সকাল ০৮ টা হতে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। আজকে আমি এখন পর্যন্ত ২ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছি।