যশোর: বাংলাদেশের সাংবাদিক শফিকুল ইসলামের বিরেুদ্ধে বিজিবির করা মামলায় যশোরের আদালত জামিন দিয়েছে। কিন্তু মাগুরা-২ আসনের এমপির করা ডিজিটাল আইনের মামলায় তাকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে আদালত এই আদেশ দেন।
জানা যায়, ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রেবেশের অভিযোগে বিজিবির করা মামলায় শফিকুল কে আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু ডিজিটাল আইনে মামলা থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। শফিকুল ইসলাম কাজল নিঁখোজ হওয়ার আগে মাগুরা-২ আসনের সাংসদ সাইফুজ্জামান শেখর তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলার পর তিনি নিঁখোঁজ হন।
শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় উদ্ধার হওয়ার পর তার ছেলে মনোরম পলকের সাথে প্রথম কথা বলেন কাজল।
বেনাপোল রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার আশেক আলী সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে উদ্ধারের বিষয়টি প্রথমে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘রাতে টহল দলের বিজিবি সদস্যরা সাদিপুর সীমান্তের একটি মাঠের মধ্য থেকে সাংবাদিক কাজলকে উদ্ধার করে। পরে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। কাজলের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে রাতেই তাকে নিতে বেনাপোলের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।’
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুল এলাকার নিজ কর্মস্থল থেকে বের হওয়ার পরপরই নিখোঁজ হন কাজল। তার কোনো সন্ধান না পেয়ে ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন। ১৩ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শফিকুল ইসলাম কাজলকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত দেয়ার দাবি জানায় তার পরিবার।
সাংবাদিক কাজল নিখোঁজ হওয়ার পর তার সন্ধানের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কয়েক দফা কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিক সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা।
তবে নিখোঁজের বেশ কয়েকদিন পর সাংবাদিক কাজলের ফোন নম্বরটি বেনাপোলে চালু হয় বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই মুন্সী আবদুল লোকমান।