সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভাঙন শুরু হয়েছে। এসব ভাঙনের কবলে পড়া মানুষগুলো শেষ সম্বলটুকু নিয়ে আতঙ্কে দিন পাড় করছেন। আর ইতোমধ্যেই ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি, কষ্টাপাড়া ও ভালকুটিয়া এলাকায় যমুনা নদীগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এসব নদীতে পানি বাড়তে থাকায় ঘর-বাড়ি নদীতে বিলীন হতে দেখা গেছে। এমনকি নদীর এক থেকে দেড়শ মিটারের মধ্যে থাকা বহু ঘর-বাড়ি, স্কুল, মসজিদ, মন্দির, পোল্ট্রি খামার হুমকির মুখে পড়েছে।এদিকে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,”ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে নদী ড্রেজিং করে বাঁধ নির্মাণ করে স্থায়ী সমাধানের বিকল্প নাই।”
এছাড়াও প্রতি বছর ভাঙনের কবলে পড়ে যমুনা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ক্রমেই পূর্ব দিকে ধাবিত হচ্ছে। বালু খেকোরা অবৈধভাবে নদীতে জেগে উঠা চর অপরিকল্পিতভাবে বালু কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। আর এতেও নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে নতুন নতুন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও গত বছর ভাঙনরোধে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি এলাকায় দুইশত মিটার এলাকায় নামমাত্র নিম্নমানের জিও ব্যাগ ফেলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড, যা ভাঙনরোধে কোনো কাজেই আসেনি। আর এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা পানিতে চলে গেছে। কিন্তু ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
খানুরবাড়ি গ্রামের জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন,”গত দুই সপ্তাহ ধরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু ভাঙনরোধে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। আর ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ি নদীতে তলিয়ে গেছে।”
কষ্টাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম মনি বলেছেন,”গত বছর চোখের সামনে বাড়ির জায়গা জমিসহ একটি ঘর যমুনা নদীতে ভেঙে গেছে। আর বাকি টুকুতে পরিবার নিয়ে ঝুঁকিতে নদীপাড়ে বসবাস করছি।”
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন,”যমুনা নদীর পূর্ব পাড়ের টাঙ্গাইল অংশ ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য প্রকল্প তৈরি করেছিল, তারপর সেটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আর অনুমোদন পেলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।”