ময়মনসিংহ: আব্দুল খালেক (৬০)। কিডনি ডায়ালাইসিস রোগী। গত ২০ এপ্রিল তার শরীরে ধরা পড়ে কোভিড-১৯ ভাইরাস। এরপর আবার ২৭ তারিখ নমুনা দেন। ফল আসে আরও চারদিন পর গত শুক্রবার। আর সেদিনই তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। তার চিকিৎসক বলছেন করোনায় নয়, তার মৃত্যু হয়েছে কিডনি অকেজো হবার কারণে।
জানা যায়, আব্দুল খালেক দীর্ঘ ছয় মাস ধরেই নিয়ম করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটে ডায়ালাইসিস করাচ্ছিলেন। কিন্তু গত ১৮ তারিখে আরেক ডায়ালাইসিস রোগীর করোনা শনাক্ত হওয়ায় লকডাউন করা হয় ওই ইউনিটটি। সেসময় অন্যান্য রোগীদের পরীক্ষা করা হলে ২০ তারিখ আব্দুল খালেকের নমুনায় কোভিড-১৯ ভাইরাস শনাক্ত হয়।
পরিবার জানায়, এরপর ময়মনসিংহের বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতালে চেষ্টা করেও ডায়ালাইসিস করাতে রাজী হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানিয়ে দেয়া হয় করোনাভাইরাস নেগিটিভ না হওয়া পর্যন্ত ডায়ালাইসিস করানো যাবে না। পরে আবারো গত ২৭ তারিখ নমুনা দেন আব্দুল খালেক। কিন্তু ফলাফল পান আরও চারদিন পর। ততক্ষণে ওই বৃদ্ধের প্রসাব বন্ধ হয়ে যায়, শরীরও ফুলে যায়।
তার চিকিৎসক সৈয়দ হাসানুল ইসলাম জানান, ‘করোনার কোনো উপসর্গই তার মধ্যে ছিল না। গত চারদিন আগে প্রস্রাব বন্ধ হয়। সেই সাথে শরীরও ফুলে যায়। এক পর্যায়ে কাউকে চিনতেও পারছিলেন না। পরিবার থেকে আমাকে এমনটিই জানানো হয়।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ছয় মাস ধরে তিনি আমার অধীনেই ছিলেন। কিডনি অকেজো হয়ে ডায়ালাইসিসের অভাবেই তিনি মারা যান। করোনা নমুনার ফলাফলটা আরও আগে পেলে ভালো কিছু হতে পারতো।’