করোনা চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে রেমডেসিভির ওষুধকে অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দিয়েছেন। এটাই হবে এই মহামারি সৃষ্টিকারী ভাইরাসের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় প্রথম কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ও ওষুধ। উৎপাদনকারী কোম্পানি জিলিড ১৫ লাখ ডেমডিসিভির স্যাম্পল সরবরাহ দেবে বলে বলা হয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, এই সোমবার থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন হাসপাতালে বিতরণ করা হবে এই ওষুধ। এই ওষুধটি মূলত বানানো হয়েছিল ইবোলা চিকিৎসার জন্য। তবে এই ওষুধটির ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীন। অনলাইন বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
এতে বলা হয়, ১ লা মে হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ওষুধটি অনুমোদন দেয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন,, জিলিড সায়েন্স ইঙ্ক যে রেমডেসিভির ওষুধ উৎপাদন করেছে তা অনুমোদন করেছে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। জিলিড সায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ডানিয়েল ও’ডের মতে, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এফডিএ’র এ সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। তার কোম্পানি করোনা আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করতে ওষুধটির ১৫ লাখ স্যাম্পল সরবরাহ করছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এ ওষুধ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা মনে করেন, এই ওষুধটি করোনা রোগের চিকিৎসায় ফলপ্রসূ হতে পারে। এর দুই দিন পর এফডিএ এই জরুরি অনুমোদন দিল। বুধবার হোয়াইট হাউজের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, এ ওষুধ প্রয়োগ করার ফলে ৩০ শতাংশ রোগী খুব দ্রুত সেরে উঠছেন। রেমডিসিভির প্রয়োগে রোগীর সুস্থ হওয়ার সময় ১৫ দিন থেকে ১১ দিনে নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি এস ফাউসি এ ওষুধটির ব্যাপারে বলেছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পাওয়া তথ্য দেখা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, করোনা থেকে দ্রুত সেরে ওঠার ক্ষেত্রে রেমডিসিভির কার্যকর।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়া নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তবে জাপানের অ্যাভিগানসহ কিছু ওষুধ কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় কার্যকর বলে নানা সময়ে জানা গেছে। এসব ওষুধ এখনও ট্রায়ালের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তবে এবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলতি অবস্থায় এই প্রথম কোন ওষুধ করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় অনুমোদিত হল।