৩৯২ চিকিৎসকসহ ৮৮১ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত। যা দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের প্রায় ১২ শতাংশ। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন এ তথ্য জানিয়েছে। সংগঠনটি মনে করে পাঁচ কারণে স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে মান সম্পন্ন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী না দেয়া, রোগীরা ডাক্তারদের কাছে তথ্য গোপন করছেন, এক সঙ্গে ডাক্তার/ নার্সদের ডিউটি দেয় উচিত হয়নি, ফ্লু কর্ণার থাকা দরকার ছিল এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে অন্তর্ভূত না করা।
দেশে করোনায় এ পর্যন্ত চিকিৎসক, নার্স ও মেডিকেল স্টাফসহ মোট ৮৮১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে চিকিৎসক ৩৯২ জন, নার্স ১৯১ জন এবং বাকি ২৯৮ জন মেডিকেলের অন্যান্য স্টাফ রয়েছেন। যা দেশে মোট আক্রান্তের প্রায় ১২ শতাংশ। ইতিমধ্যে একজন চিকিৎসক ও একজন মেডিকেল
স্টাফ মারা যাওয়ার খবর দিয়েছে সংগঠনটি। আক্রান্তদের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ( বিএমএ)- এর দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ ডা. শহিদুল্লাহ মানবজমিনকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, প্রতিদিনই সংখ্যা বাড়ছে।
এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবারের সদস্যও আক্রান্ত হচ্ছেন। শত শত স্বাস্থ্যকর্মী ইতিমধ্যে কোয়ারেন্টিনে গেছেন। এতে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবায় ব্যপক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ব্র্যাকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কারণে পরিবারের কথা চিন্তা করে সেবা দিতে ভয় পান। এতে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম করোনার রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ই মার্চ। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭১০৩ জন। মারা গেছেন ১৬৩ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫০ জন। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৯ হাজার ৭০১ জন।