কলকাতা: কযেকদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন ফুটবলের এক অনন্য চরিত্র প্রদীপ বন্দোপাধ্যায়। বুধবার চলে গেলেন ইরফান খান। বৃহস্পতিবার সকালে ঋষি কাপুর। আর বিকেলে ভারতবাসীর জন্যে অপেক্ষা করছিলো একটি দুঃসংবাদ। প্রবল করোনা আক্রমণ ও লকডাউনের মধ্যে চলে গেলেন ভারতীয় ফুটবলের বেতাজ বাদশা চুনী গোস্বামী। দীর্ঘদিন ধরে বয়স জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শেষপর্যন্ত যোধপুর পার্কে বাড়ির কাছে একটি নার্সিং হোমে তাঁর জীবনাবসান হলো বৃহস্পতিবার দুপুরে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।ফুটবলাররা।
যখন খেলতেন চুনী তখন ছিলেন অনন্য। রাইট ইনসাইড ফরওয়ার্ড হিসেবে তিনি গোল করতেন। আমৃত্যু তিনি মোহনবাগান ক্লাব এর সঙ্গে খামের গায়ে ডাকটিকিট এর মতো জড়িয়ে ছিলেন। মোহনবাগান ছাড়া অন্য কোনো ক্লাবে খেলেন নি। বাংলার সন্তোষ ট্রফি দলের তিনি নেতা ছিলেন। ভারতীয় দলের অপরিহার্য অঙ্গ চুনী গোস্বামীর নেতৃত্বেই ভারত ১৯৬২ সালে এশিয়ান গেমসে ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়। চুনী গোস্বামী সেই বিরলতম কৃতিত্বের অধিকারী। তিনি বাংলার রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন। অবশিষ্ট ভারতীয় একাদশের হয়ে তিনি ব্যতিব্যস্ত করেছিলেন গারফিল্ড সোবার্স এর ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও। চুনী গোস্বামী টেনিসও খেলতেন। সাউথ ক্লাব এর সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক ছিল। চুনী গোস্বামীর সঙ্গে বর্তমান প্রতিবেদকের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। কদিন আগে তাঁর জন্মদিনে যোধপুর পার্কে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম ফুল আর কেক নিয়ে। অশক্ত শরীর। উঠে দাঁড়াতে পারছিলেন না। প্রণাম করতেই বললেন, কি বলিস জয়ন্ত, লড়ে যেতে হবে। সেই শেষ দেখা। কে জানতো লড়াইটা এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে !।