ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার কারণে দেশের কিছু মানুষ কর্মহীন হয়ে যাতে অনাহারে বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিক রেখে কিছু শিল্প কল-কারখানা খুলে দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বহুদেশে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে তো লকডাউন তুলে নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করে দিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আমরাও আগামীতে স্বাভাবিক জীবন ফিরে যাবো।
বুধবার ঢাকার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নির্মিত অস্থায়ী হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এক মাস ধরে চলা অবরুদ্ধ অবস্থা এখন কিছুটা শিথিল করার পক্ষে মত জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে সীমিত আকারে শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া যায়। তবে তা সঠিক নিয়মে ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিক রেখে করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার, ডিএনসিসি মার্কেট ও দিয়াবাড়ির চারটি ফ্লোরে নতুন আরো সাড়ে ৪ হাজার করোনা আইসোলেশন বেড প্রস্তুত হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এই করোনা আইসোলেশন হাসপাতালগুলো উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।
সব মিলিয়ে দেশে এখন ২০ হাজারেরও বেশি করোনা আইসোলেশন বেড প্রস্তুত। এর থেকেও বেশি প্রয়োজন হলে সেটার ব্যবস্থা সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে।
তিনি জানান, করোনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পর্যাপ্ত আইসোলেশন বেড, আইসিইউ সেন্টার, ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেন সিলিন্ডার বৃদ্ধিসহ নতুনভাবে আরো ২ হাজার চিকিৎসক ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এদের পাশাপাশি, বেশকিছু মেডিকেল টেকনোলজিস্টও আপাতত আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান খান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।