অর্থনৈতিক দুর্দশার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার মানুষ। কোভিড নাইন্টিন মহামারির কারণে ঘোষিত লকডাউন ভেঙ্গেই এই বিক্ষোভ চলছে। তবে আল-জাজিরা জানিয়েছে, বিক্ষুব্ধরা ক্রমেই সহিংস হয়ে উঠছেন। দেশটির প্রায় প্রতিটি শহরেই তারা ভাঙচুর চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে এক ডজন ব্যাংকে তারা হামলা চালিয়েছে এবং সবকিছু ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশ।
সবথেকে বড় বিক্ষোভ হয়েছে লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় শহর ত্রিপলিতে। এটি লেবাননের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হলেও দেশের সবথেকে দরিদ্র অঞ্চল।
সেখানে ফুয়াজ আল-সেমান নামের এক আন্দোলনকারী মারা গেলে বিক্ষোভ তুমুল রূপ ধারণ করে। নিহত ফুয়াজের বোনের দাবি, লেবানিজ সেনাদের গুলিতেই তার ভাই প্রাণ হারিয়েছে। সেনাবাহিনী গুলি করার দায় অস্বীকার করলেও তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে। এ নিয়ে তারা তদন্ত কার্যক্রম চালু করবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার ত্রিপোলি শহরের ব্যাংকগুলো বিক্ষোভকারীদের টার্গেটে পরিণত হয়। রাস্তায় রাস্তায় সেনারা তাদেরকে ধাওয়া করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে। সিডন শহরের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অন্তত অর্ধডজন পেট্রোল বোমা হামলা চলে। পেট্রোল বোমায় জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে বৈরুত ও নাবাতিয়েহ শহরের ব্যাংকও।
সম্প্রতি লেবাননের মুদ্রার মান দ্রুত কমে আসতে শুরু করেছে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে আন্দোলনকারীরা। গত ৬ মাসে এর মান কমেছে ৫০ ভাগেরও বেশি। লকডাউনের কারণে এই অর্থনীতি আরো নাজুক হয়ে পড়ছে। দেখা দিয়েছে বড় ধরণের অর্থনৈতিক সংকট। এতে মানুষের ক্ষোভ চরমে গিয়ে পৌঁছেছে। এতে যোগ দিয়েছে দেশটির তরুণতরুণীরাও। সকল স্তর থেকেই মানুষ জন সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছে।