গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরের সকল মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মুসলমানদের জন্য বছরের সবচেয়ে উত্তম মাস রমজান মাস। আর এই রমজান মাসে মুসলমানগণ প্রতি দিন মসজিদে গিয়ে তারাবি নামাজ আদায় করে থাকেন। তাই মুসল্লিদের সুবিধার্থে মসজিদ খুলে দেয়া হলো।
তিনি আরও বলেন, স্থাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা মসজিদে যাবেন। এক মহল্লার লোক অন্য মহল্লায় যাবেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনেই মুসল্লিরা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করবেন।
মেয়র বলেন, গাজীপুর মহানগরীতে মাত্র কয়েকটি এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ রয়েছে। বেশী সংক্রমিত হয়েছে উপজেলা পর্যায়ে। যেহেতু গাজীপুরের গার্মেন্টস গুলো খুলে দেওয়া হয়েছে, তাই রমজান মাসে এখন আর মসজিদে অল্পসংখ্যক মুসল্লিদের জন্য সীমাবদ্ধ রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। শুক্রবারের জুমার নামাজ ও রমজানের তারাবির নামাজে মুসল্লিগণ অংশ নিতে পারবেন। এতে সিটি কর্পোরেশনের কোনো বাধা থাকবে না’।
মেয়র আরো বলেন, ‘যেসব ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসের কোনো পজেটিভ পাওয়া যায়নি, এ সব এলাকার মসজিদে যদি মুসল্লিরা নামাজ পড়তে চায় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা হবে না। তবে ওইসব এলাকায় যেন বাইরে থেকে কোনো লোক করোনার উপসর্গ নিয়ে আসতে না পারে, সেদিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের নগরে আমরা সবাই নিরাপদে থাকবো। আমাদের পরিবার ও সন্তানদের নিরাপদে রাখবো’।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশের মসজিদ সমুহে নামাজ আদায়ের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করে সরকার। গত ৬ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মসজিদে জামাতে পাঁচ জনের বেশী মুসল্লি অংশ নিতে পারবে না। জুমার নামাজে অংশনিতে পারবে দশ জন। এ সময় মুসল্লিদের নিজ নিজ বাসায় নামাজ আদায় করতে বলা হয়।
অপরদিকে গত ২৪ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এক নির্দেশনায় বলা হয়, রমজানে এশার জামাতে মসজিদের ইমাম, মেয়াজ্জিন, খতিব, খাদেম এবং দুজন হাফেজসহ ১২ জন মুসল্লি তারাবির নামাজ আদায় করতে পারবেন। অন্যদের নিজ নিজ বাড়িতে তারাবির নামাজ আদায় করা জন্য বলা হয়।