সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: বাংলাদেশে অনেকের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নেই। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হলো নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোর মতো। অর্থাৎ কিছু মানুষের সুচিন্তা থেকে সমাজ বান্ধব কাজ করার লক্ষে গড়ে উঠে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আর উন্নত দেশগুলোতে এরকম সংগঠন গুলো সোশ্যাল ওয়ার্ক এর মাধ্যমে অনেক কাজ এগিয়ে নিয়ে যায়।তাই নেতিবাচক দিক কম। তবে শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, ব্যক্তিগত উদ্যোগেও রাষ্ট্রের কাজে এগিয়ে এসে দেশকে উন্নত করা যায়।
“আলোকিত মানুষ ফাউন্ডেশন” পথশিশু, ছিন্নমূল, অসহায় মানুষ নিয়ে সারাবছর কাজ করে যাচ্ছে। এতে বিশেষ করে মা ও শিশুদের সহায়তা প্রদান করাই এ সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য। এদেরকে একবেলা আহার এবং পাঠদান এর মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট সহ বিভিন্ন শহরে এর শাখা রয়েছে। আর এর সদস্য দের মূল ব্রতই হলো সকল শিশু যেন পূর্ণ অধিকার নিয়ে বেড়ে উঠে সে বিষয়ে সহায়তা করা। এর আরও কিছু ভবিষ্যত পরিকল্পনা রয়েছে।
“আলোকিত মানুষ ফাউন্ডেশন” এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সভাপতি নাজমিন সুলতানা তুলি জানিয়েছেন,”সমাজে বিত্তবান এবং বিভিন্ন দাতা সংস্থাগুলো পাশে দাঁড়ালে খুব শীঘ্রই এর কার্যক্রম আরও দ্রুত গতিতে চলবে।”
প্রতিষ্ঠানটির সহ সভাপতি মো: সিরাজুল ইসলাম সাহেব বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরী তহবিল গঠনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজেদের সাধ্যমতো অসহায়, দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। গত পঞ্চাশ দিনে প্রায় দুইশত পরিবারকে এক সপ্তাহ করে চালিয়ে যাবার মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য দিয়ে সেবা দিয়ে গেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির সহ-সভাপতি মো: সিরাজুল ইসলাম সাহেব জানিয়েছেন, “কোনো রাজনৈতিক বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে নয়, শুধু মানবিক দিক চিন্তা করেই এ সহায়তা দেয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য যে, কোনো ফটোসুট করে কাউকে বিব্রত করাও এড়িয়ে চলেছেন -এই সেবা কার্যক্রমে। আর এখন ঈদ পূর্ববর্তী আরও সহায়তা দেয়া হবে এবং সেভাবে প্রস্তুতি এবং সংগ্রহ চলছে।
আলোকিত মানুষ ফাউন্ডেশনের মূলমন্ত্র হলো: মানবতার কল্যাণে সূর্যোদয়। অর্থাৎ প্রতিটি ভোর হবে মানবতার কল্যাণে। এভাবে পজিটিভ চিন্তা নিয়ে কাজ করলে এগিয়ে যাবে সমাজ।আলোকিত হবে দেশ।