মধ্যসত্তাভোগীদের সুবিধা দেয়ার জন্য সরকারকে মিসগাইড করা হচ্ছে : ডা. জাফরুল্লাহ

Slider

ঢাকা: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনাভাইরাস কিটস সম্পর্কে ঔষধ প্রশাসনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, মধ্যসত্তাভোগীদের সুবিধা দেয়ার জন্য সরকারকে মিসগাইড করা হচ্ছে। রোববার দুপুরে তিনি নয়া দিগন্তের কাছে এ মন্তব্য করেন।

গণস্বাস্থ্যের তৈরী করা করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিটসের ব্যাপারে গাইডলাইন মানা হয়নি, এমন অভিযোগের ব্যাপারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কিসের গাইডলাইন মানা হয়নি? সম্পূর্ণ গাইডলাইন মেনেই আমরা সবকিছু করেছি। তারপরও যখন যুদ্ধ চলে সেই গোলাগুলির মাঝখানে এসব কথাবার্তা মুর্খতার শামিল। তিনি বলেন, দেশে এক যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এক কঠিনতম পরিস্থিতি অতিবাহিত করছি। করোনার সাথে আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি, সেখানে আজকে অবান্তর কথাবার্তা বলে সরকার ও জনগণকে মিসগাইড করছেন তারা।

বিশ্বে কোনো দেশে র‌্যাপিড কিট অনুমোদন দেয়নি- ঔষধ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের এমন বক্তব্যের জবাবে ডা. জাফর উল্লাহ বলেন, গতকাল ভারতে এটি পরীক্ষায় ব্যবহার করা হয়েছে। ইরানে এই কিটস ব্যবহৃত হচ্ছে এবং প্রতিদিন ১০ লাখ কিট উৎপাদন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঔষধ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অনেক কিছু গোপন করেছেন বা তিনি অনেক কিছু জানেন না বলেও মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন, আইইডিসিআর কে ৫০ লাখ টাকা বাজেট তৈরি করার কথা বলা হয়েছিল সেটা কি তিনি জানেন?

আমলারা মধ্যসত্তাভোগীদের ব্যবসায়িক সুবিধা দেয়ার জন্য বিষয়টি নিয়ে মিথ্যাচার করছেন উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, এসব অর্বাচীন আমলা সরকারকে মিসগাইড করছে। তা না হলে এটা পরীক্ষা করে দেখতে তো তাদের এত সমস্যা থাকার কথা নয়। আমরা বলছি, এটা কাজ করে এখন তারা পরীক্ষা করে দেখুক। পরীক্ষা করতে তাদের এত আপত্তি কিসের? এটা হলে তো সরকারের সুনাম হতো, বাংলাদেশের সুনাম হতো, প্রধানমন্ত্রীর নাম হতো এবং এদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় উপকার হতো। আমাদের করোনার জন্য যে যুদ্ধটি করতে হচ্ছে সেটাতে উত্তরণ করার জন্য আমরা এক ধাপ এগিয়ে যেতাম। আমি তাদের এসব কর্মকাণ্ডকে সম্পূর্ণ অর্বাচীন ও মূর্খতা বলে দাবি করছি এবং তা ঘৃণা করছি। আমলাদের এই তাদের এই কর্মকাণ্ডের কারণে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সরকারের সুনাম নষ্ট হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *