টঙ্গী: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের অনুরোধকে পাত্তা দিচ্ছেন না পোশাক কারখানার মালিকরা। মেয়রের অনুরোধ উপেক্ষা করে অধিকাংশ পোশাক কারখানা রোববার থেকে চালু করা হয়েছে। এর আগের দিন শনিবার বিকেলে মেয়র ফেসবুক লাইভে এসে সকলকে হাতে-পায়ে ধরে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে ছিলেন। তার এই অনুরোধ উপেক্ষা করে রোববার সকাল থেকেই মহানগরির অধিকাংশ পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। শত শত শ্রমিক হেটে, রিক্সা-ভ্যানে গাদাগাদি করে এসেছেন কাজে যোগ দিতে।
এর আগে শনিবার দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন পণ্যবাহী পরিহন ট্রাক, কভারভ্যান ইত্যাদিসহ যে যেভাবে পেরেছেন সেভাবে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ছুটে এসেছেন। এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আগামী ৫ মে বর্ধিত লকডাউন পর্যন্ত কারখানা খোলা হলে এটি হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
এ অবস্থায় নগর পিতা হিসেবে আপনার করণীয় কী? জানতে চাইলে মেয়র বলেন, যথাযথ স্বাস্থ্যনীতি ও শতভাগ লকডাউন মেনে চলার জন্য সকলকে অনুরোধ করেছি। আমার অনুরোধ কেউ রক্ষা না করলে আমি তো কারোর মাথায় বারি দিতে পারবো না।
আগামী দশ দিন যথাযথ স্বাস্থ্যনীতি ও শতভাগ লকডাউন মেনে চলার জন্য মেয়র জাহাঙ্গীর আলম শনিবার নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডেই আমরা করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত। গাজীপুর মহানগরিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ গার্মেন্টসহ বিভিন্ন কল কারখানায় কাজ করেন। আগামী ৫ তারিখ সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি পর্যন্ত শতভাগ লকডাউন মেনে চললে এবং স্বাস্থ্যনীতিতে যেটা বলা আছে সেটা যথাযথভাবে মেনে চললে আগামী ১০ থেকে ১২ দিন পরে আমি সরকারের সাথে আলোচনা করে আমার প্রত্যেকটা এলাকায় কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিব। তিনি বলেন, সকলকে পায়ে হাত ধরে অনুরোধ করছি, শতভাগ লকডাউন মেনে চলুন। আর মাত্র দশটা দিন যদি আমরা কষ্ট স্বীকার করতে না পারি তাহলে আমাদেরকে মাসের পর মাস কষ্ট করতে হবে। তখন হয়তো আমাদের হাতে সময় থাকবে, কিন্তু আমাদের অর্থনীতি পঙ্গ হয়ে যাবে এবং আমরা দুর্ভিক্ষের মধ্যে চলে যাব। কাজেই নিজের, নিজের পরিবার, সমাজ ও দেশের মঙ্গলের কথা বিবেচনা করে সকলে ঘরে থাকুন। পাশাপাশি যারা বাড়িওয়ালা ও ভিত্তবান তারা সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে যারা কষ্টে আছে তাদেরকে খাদ্য সহায়তা করুন। মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মনিরুজ্জামান মনিরের ফেসবুক থেকে শনিবার বিকেলে তার এই লাইভ প্রচার করা হয়।