সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরে করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন বাস শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছেন। আজকে রবিবার (২৬ ই এপ্রিল) দুপুরে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এই অবরোধ কর্মসূচী পালন করেন তারা। আর এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয় জনসাধারণ। আর এই খবর পেয়ে ভূঞাপুর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাস শ্রমিক লাভলু মিয়া জানিয়েছেন, “বাস সহ অন্যান্য পরিবহন চলাচল বন্ধ। আর এতে করে মানববেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। অথচ ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিনিয়তই স্থানীয় মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটো ও বালুবাহী ট্রাক চালকরা অবাধে ঢাকা, গাজীপুর, সাভারগামী যাত্রীদের নিয়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন। এতে ভাড়া হিসেবে নিচ্ছে প্রতি যাত্রী’র কাছ থেকে ৫’শ থেকে ৭’শ টাকা। এদিকে, আমরা না খেয়ে আছি। আর পাইনি কোনো ধরণের সরকারি অনুদান ও খাদ্য সহায়তা।”
পোশাক শ্রমিক মজনু মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও মর্জিনা বেগমের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, “তাদেরকে ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পোশাক কারখানায় যোগদান করতে বলা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে তারা পুলিশি বাঁধা ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছে।”
টাঙ্গাইল জেলা বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভূঞাপুর উপজেলা শাখা’র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সুরুজ আলম বলেছেন,”বর্তমান লকডাউনের কারণে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবে অন্যান্য যানবাহন ঠিকই চলছে। আর এতে করে কর্মহীন হয়ে বসে থাকা সাধারণ বাস শ্রমিকরা খেয়ে না খেয়ে জীবনযাপন করছে। তাই ক্ষোভে অন্যান্য যানবহন বন্ধে রঁশি বেঁধে বাসস্ট্যান্ড চত্বরে সড়ক অবরোধ করে রাখে শ্রমিকরা।”
ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাশিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, “সকালে মাইক্রো ও সিএনজি চালকরা যাত্রী নিয়ে ভূঞাপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার চেস্টা করছিল। এরপরে তাদের নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু যে কয়েকটা গেছে এখন আর যাচ্ছে না। তবে সড়ক অবরোধের বিষয়ে জানা নেই। আর এ উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।”
সড়ক অবরোধের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাসরীন পারভীন বলেছেন, “খাদ্য, ওষুধ, কাঁচামাল ও জরুরি সেবা ছাড়া সকল ধরণের পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে অবরোধের বিষয়ে জানা নেই।তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।”