চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে তিন ইপিজেডের ১১০টি কারখানা চালু করা হয়েছে। করোনার ঝুঁকি ও কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়া মাথায় নিয়ে রবিবার সকালে এসব কারখানায় যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। ইপিজেডগুলোর কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সীমিত পরিসরে কাজ শুরু করেছে এসব কারখানা।
এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে আশ্বস্ত হতে পারছেন না চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি। যে কোনো ধরনের জমায়েতই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করবে বলে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করেছেন তিনি।
চট্টগ্রাম ইপিজেডের জিএম খুরশিদ আলম জানান, তাদের ইপিজেডে ১৫৮াট কারখানর মধ্যে ৭০টির মতো কারখানা সীমিত পরিসরে চালু করা হয়েছে। প্রতিটিতে ২০-২৫ শতাংশ শ্রমিক কাজ শুরু করেছে। এসব কারখানায় এক লাখেরও বেশি শ্রমিক রয়েছে।
চট্টগ্রামের বেসরকারি কোরিয়ান ইপিজেডের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মুশফিকুর রহমান জানান, ইপিজেডের ৪১টি কারখানার সবকটি রোববার সকাল থেকে চালু করা হয়েছে।
এসব কারখানায় ৭৬ হাজারের মতো শ্রমিক রয়েছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ইপিজেডের জিএম মশিউদ্দিন বিন মেজবাহ জানান, তাদের ইপিজেডের ২২টির মতো কারখানা রয়েছে। রপ্তানি কার্যাদেশ থাকায় সবকটি কারখানা আংশিকভাবে চালু করেছে। এসব কারখানায় ২৫ হাজারের মতো শ্রমিক রয়েছে।
তাদের ভাষ্য, বিদেশি ক্রেতাদের কার্যাদেশ ও রপ্তানি অব্যাহত রাখার জন্য কারখানাগুলোর কাজ চালু করা হয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গাইডলাইন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ইপিজেড কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।
এছাড়া তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর অন্তর্ভুক্ত অনেকগুলো কারখানা রবিবার সকাল থেকে চালু করা হয়েছে বলে জানান সংগঠনটির প্রথম সহ-সভাপতি এম এ সালাম। তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে সব কারখানাকে বিধি-ব্যবস্থা মানার জন্য বিজিএমইএর পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজিএমইএর সূত্রমতে, তাদের অধীনে সাতশর মতো কারখানা রয়েছে। কাজ থাকায় করোনার মধ্যেও ৩০-৩৫টি পোশাক কারখানা চালু রাখা হয়েছে। করোনা সংক্রমণের আগে ৩২৬টি কারখানা সচল ছিল।
কেইপিজেডের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মুশফিকুর রহমান বলেন, আমাদের কারখানাগুলোর ৯৩ শতাংশ শ্রমিকই আশপাশের এলাকার। এখানে থার্মাল স্ক্যানার রয়েছে, শ্রমিকরা মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরে কাজ করবে। কারখানায় শ্রমিকদের ন্যূনতম দূরত্ব মানার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, জমায়েত যত হবে সংক্রমণের ঝুঁকিও তত থাকবে। এ ক্ষেত্রে কারখানা যদি খোলা রাখতেই হয় তাহলে সামাজিক দূরত্ব অবশ্যই মানতে হবে। কারো করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তাকে ঘরে থাকতে হবে। এছাড়া কারখানাগুলোতে নিয়মিত চেকআপের ব্যবস্থা রাখা উচিত বলে মত দেন সিভিল সার্জন।