ঘাটাইলে করোনা আক্রান্ত মহিউদ্দিনের মৃত্যু

Slider জাতীয়


ঘাটাইল ( টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মহিউদ্দিন নামে সেই যুবক মারা গেছেন। বিষয়টি মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই আব্দুস সালাম। মহিউদ্দিনের বাড়ি উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ঘোনারদেউলি গ্রামে। তার বাবার নাম রুস্তম আলী। আজ মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে দুপুর পৌনে দুইটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার ভাই সালামকে মহিউদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি জানান।

ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে থাকা সালামের সাথে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মহিউদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি হাসপাতালের ডাক্তার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে আমাকে অবহিত করেন। পরে আমি আমার গ্রামের বাড়ীতে বৃদ্ধা মা ও বোনকে ফোন করে ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানাই।
তিনি আরও বলেন, মহিউদ্দিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন বলে জানান ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তারগণ। সালাম আরও জানান, লাশ দাফনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষর কাছে জানতে চাইলে তারা আমাকে জানান, আমাদের বিশেষ একটি দল আপনাদের গ্রামের বাড়ীতে লাশ নিয়ে যাবে, দুর থেকে মৃতদেহটি দেখিয়ে তারা আবার লাশ ঢাকায় নিয়ে আসবেন। তবে কোথায় দাফন করা হবে এই বিষয়টি নিশ্চিত করে তারা এখনও জানাননি।

এর আগে ঘাটাইলে গত ১১ই এপ্রিল প্রথম তার দেহে করোনা ভাইরাস পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি ঘাটাইল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইইডিসিআর সুত্রে জানতে পারে।

মহিউদ্দিনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ঢাকার শেরে বাংলা নগর হাসপাতাল থেকে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে তাকে হেফাজতে আনে ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসন। পরে স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে তাকে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আইইডিসিআর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে তার ঠিকানা বলতে শুধু নাম এবং একটি মোবাইল নম্বর ছিল। পরে আইইডিসিআর করোনা পজিটিভের বিষয়টি ঘাটাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে জানালে প্রশাসনের সহযোগিতায় মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করে তাকে শনাক্ত করা হয়।জানা যায়, মহিউদ্দিন টাঙ্গাইলের সরকারি সা’দত কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স শেষ করে বাড়ি থেকেই কনফিডেন্স নামে একটি ইউনানী ওষুধ কোম্পানিতে চাকুরি করতেন। তিনি অবিবাহিত। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। এজন্য গত ৪ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি ঢাকার শেরেবাংলা নগর হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে সময় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার দেহ থেকে করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে আইডিআরসিআরে পাঠান।একই সঙ্গে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে রেফার্ড করেন।কিন্তু সেখানে সে ভর্তি না হয়ে পালিয়ে ঘাটাইলের গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন।একই সাথে তার ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোনটি বন্ধ করেদেন।
এ ব্যপারে মহিউদ্দিনের মৃত্যূর বিষয়টি ঘাটাইল উপগজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাইফুর রহমান স্বীকার করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *