গাজীপুর: গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় গত ১২ই এপ্রিল ২০২০ ইং রোজ রবিবার প্রথম করোনা ভাইরাসের (কোভিড- ১৯) রোগী সনাক্ত হয়। এরপর থেকে ১৮ই এপ্রিল ২০২০ ইং রোজ শনিবার পর্যন্ত কালীগঞ্জে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ জন।
মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের প্রত্যেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সেনানিবাস এলাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরমধ্যে কয়েকজন রোগীর পর্যাপ্ত লক্ষণ বা উপসর্গ না থাকায়, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল কতৃপক্ষ ভর্তি না রেখে হোম আইসোলেশন বা হোম কোয়ারেন্টাইনের জন্য ফেরত পাঠান।
এজন্য কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ছাদেকুর রহমান আকন্দ কালীগঞ্জে হোম আইসোলেশন বা হোম কোয়ারেন্টাইনের জন্য ফেরত পাঠানো রোগী, রোগীর পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও অন্য সকলের জন্য তাহার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি সচেতনতা মূলক বার্তা পোস্ট করেন।
সকলের অবগতির জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তার বার্তাটি তুলে ধরা হলো-
আসসালামু আলাইকুম,
সম্মানিত কালীগঞ্জ বাসী,
আপনাদের সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কালীগঞ্জে ইতোমধ্যে ৪৩ জন করোনা ভাইরাসে (কোভিড- ১৯) আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। যাদের প্রত্যেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সেনানিবাস এলাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে কয়েকজন রোগীর করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট পজেটিভ আসা সত্ত্বেও, রোগীদের মধ্যে পর্যাপ্ত লক্ষণ বা উপসর্গ না থাকায়, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল কতৃপক্ষ রোগীদের ভর্তি না রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হোম আইসোলেশন বা হোম কোয়ারেন্টাইনের জন্য বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
যেসব রোগীদেরকে হোম আইসোলেশন বা হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নেবার জন্য বাসায় ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে, তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নয়, এমনটি ভাবা যাবে না।
যেসব রোগীদের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ আসছে এবং তাদের মধ্যে এখনো তেমন কোন লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না, তারা হোম আইসোলেশন বা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর পরিবারের সদস্যরা নিজ দায়িত্বে, করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট পজেটিভ আসা রোগীদেরকে একটি ঘরের মধ্যে রাখবেন। উক্ত রোগীদের সাথে আপনি নিজে বা আপনার পরিবারের অন্য সদস্যরা যেন ঘনিষ্ঠ মেলামেশা থেকে বিরত থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের হোম আইসোলেশনে যদি পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুবান্ধরা সহযোগিতা করি, তা রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে অনেকাংশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীরা যেকোন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বাতায়নের জরুরি নম্বরে (১৬২৬৩) ফোন করে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারবেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ছাদেকুর রহমান আকন্দ বিনীত ভাবে কালীগঞ্জ উপজেলার সকলের প্রতি অনুরোধ করে বলেন- কোন পরিবারের কোন সদস্যের করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট পজেটিভ আসায় এবং রোগীর মধ্যে পর্যাপ্ত লক্ষণ বা উপসর্গ না থাকার কারনে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে হোম আইসোলেশন বা হোম কোয়ারেন্টাইনের জন্য ফেরত পাঠানো রোগী বা রোগীর পরিবারের সাথে কেউ খারাপ আচরণ করবেন না।
মহামারী করোনা ভাইরাসের (কোভিড- ১৯) হাত রক্ষা পেতে সরকারি লকডাউন মেনে “ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিজে বাঁচুন এবং অন্যকে বাঁচার সুযোগ দিন”