ঢাকা:করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হওয়ায় চলমান সাধারণ ছুটি আরেক দফা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ২৬ মার্চ থেকে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৩১ দিনের ছুটি চলছে দেশে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংক্রমণরোধে মানুষকে ঘরে রাখতে ছুটি আরও বাড়ানোর প্রয়োজন হবে। এ জন্য ছুটি বাড়াতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হচ্ছে। তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে।
করোনার কারণে প্রথমে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে আরও তিন দফায় ছুটি বাড়ানো হয়। পর্যায়ক্রমে ১১ এপ্রিল, ১৪ এপ্রিল ও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ে।
গতকাল স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মানুষকে ঘরে রাখতে আমরা স্ট্রিকলি এনফোর্সমেন্ট চাই। করোনা প্রতিরোধে আমাদের প্রধান অস্ত্রই হলো আইসোলেশন এবং দূরত্ব বজায় রাখা। এটা হচ্ছে, তবে আরেকটু স্ট্রিকলি হলে আরও ভালো হবে। তা না হলে আমরা সংক্রমণ রোধ করতে পারব না। তিনি বলেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাতে ছুটি আরও বাড়ানোর প্রয়োজন হবে। যেভাবে রোগী বাড়ছে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে আমরা সুপারিশ করব। করোনা নিয়ন্ত্রণে ছুটি কত দিন পর্যন্ত বহাল রাখতে হতে পারে- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, সেটা এখনই বলা যাবে না। সংক্রমণের ট্রেন্ড অ্যানালাইসিস করে সেটা বলতে হবে। বিশেষজ্ঞরা পর্যালোচনা করছেন, অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা দেখছেন।
ছুটির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, করোনার যা পরিস্থিতি তাতে ছুটি বাড়ানোর প্রয়োজন হবে। কিন্তু আমাদের কিছু বিষয় চিন্তা করতে হবে। এখন বোরো ধান কাটার মৌসুম। হাওরাঞ্চলসহ যে জায়গাগুলোতে বেশি বোরো হয় সেখানে কৃষক যেতে না পারলে অবস্থা খারাপ হবে। তিনি বলেন, ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সবকিছু বিবেচনা করে হয়তো প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।