ঢাকা: করোনা সংক্রমণের ভয়ে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। পুরো দেশ কার্যত লকডাউনে। মানুষের ঘর থেকে বের হতে মানা। সন্ধ্যা ছয়টার পর অপ্রয়োজনে বের হলে শাস্তির বিধান জারি করা হয়েছে। মসজিদে সাধারণ মুসল্লিদের যাতায়াত বন্ধ। জুমার জামাতে যেতে মানা। ঘরে তারাবি পড়তে বলা হয়েছে। এই অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাখো মানুষের বিশাল জমায়েত হয়েছে একটি জানাজায়।
লকডাউনের মধ্যে এমন জমায়েত নিয়ে আলোচনা চারপাশে। কারা অনুমতি দিয়েছে। কিভাবে এতো লোক একসঙ্গে জমায়েত হয়েছে এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে এভাবে জানাজার আয়োজন হলে সারা দেশে লকডাউন দিয়ে লাভ কি? মানুষকে ঘরবন্দি করে রাখার মানে কী?
শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদরাসা প্রাঙ্গণে প্রখ্যাত আলেম মাওলানা হাফেজ জুবায়ের আহমদ আনসারীর এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা মাদরাসা মাঠ ছাড়িয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে ছড়িয়ে যায়। একদিকে বিশ্বরোড মোড় হয়ে সরাইলের মোড় পর্যন্ত অন্যদিকে আশুগঞ্জের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকে লোকজন। এ ছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনের ছাদেও মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও দূরবর্তী অনেক জেলা থেকেও লোকজন বিভিন্ন যানবাহনে এসে জানাজায় শরিক হন। জেলার বাইরে থেকে এতো লোক কিভাবে এলো এ নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরাইল থানার ওসি অবশ্য জানিয়েছে, মানুষের স্রোত শুরু হওয়ায় তাদের আর কিছু করার ছিল না।
শুক্রবার বিকালে শহরের মার্কাসপাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন যুবায়ের আহমেদ আনসারী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। আনসারী বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির এবং বেড়তলা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন।