কূটনৈতিক ডেস্ক: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মহীন হয়ে পড়া ১৫ হাজার বাংলাদেশি অল্প কিছু দিনের মধ্যেই দেশে ফিরছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমন ধারণা দিয়েছেন। তার ভাষ্যটি ছিল এমন- ” মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ ঢাকাকে অনুরোধ করেছে অবৈধ এবং ছোটখাটো অপরাধের দায়ে জেলে থাকা বাংলাদেশিদের ফেরানোর কাজে সহযোগতা করতে অর্থাৎ তাদের গ্রহণ করতে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে যে সব বাংলাদেশিকে আমরা ঢাকায় পাবো সেই সংখ্যা আমার ধারণা নূন্যতম ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী বা তার দপ্তর কোন দেশ থেকে কতজন ফিরছেন সেই তালিকা প্রকাশ করেনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করোনা সেলের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, সৌদি আরব এবং কুয়েত ছাড়া অন্য দেশ এখনও তালিকা দেয়নি। তিনি জানান, কুয়েত থেকে ফিরছে সবচেয়ে বেশি লোক। কারণ কুয়েত সরকার ১১-১৫ই এপ্রিল বাংলাদেশি অবৈধদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল।
করোনায় সৃষ্ট বিশেষ পরিস্থিতিতে তারা এ ঘোষণা দিয়েছিল। শর্ত ছিল অবৈধ বা অনিয়মিত বাংলাদেশিরা ফিরতে সম্মত হলে তাদের কোনো রকম শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না বরং তাদের স্পেশাল ফ্লাইটে ঢাকা অবধি পৌঁছে দেয়া হবে। শুরুতে কয়েক ‘শ বাংলাদেশি আগ্রহ দেখালেও শেষ দিনে অনেকে নিবন্ধন করায় সেটি এখন হাজারের কোটায়। অর্থাৎ কয়েক হাজার বাংলাদেশি সূযোগটি গ্রহণ করেছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা ফিরছেন। দ্বিতীয়ত কুয়েতের জেল থেকে গত দুই সপ্তাহে অনেকে মুক্তি পেয়েছেন। তারাও ফিরছেন। কুয়েত এয়ারলাইন্সের স্পেশাল ফ্লাইট তাদের ঢাকা পৌঁছাবে। তবে এখনও ফ্লাইট শিডিউল বা ক্লিয়ারেন্স চায়নি ঢাকার কুয়েত দূতাবাস। মধ্যপ্রাচ্যের সিস্টেমের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাজ করা এক কর্মকর্তা অবশ্য দাবি করেন- মধ্যপ্রাচ্য থেকে অবৈধদের ফেরানোর বিষয়টি রুটিন ঘটনা। অল্প অল্প অর্থাৎ শ শ ক’দিন পরপরই ফিরেন। দেশগুলো টিকেট কেটে বা ফ্লাইট ম্যানেজ করে শ্রমিকদের ঢাকা অবধি পৌঁছে দেয়। করোনার কারণে প্রায় একমাস ফ্লাইট বন্ধ থাকায় এখন একসঙ্গে অনেকে ফিরছেন বলে মিডিয়ায় বাড়তি এটেনশন পাচ্ছে।