অপ্রস্তুত বাংলাদেশে কভিড-১৯

Slider জাতীয় বাধ ভাঙ্গা মত


কাজী জেসিন: ’’বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই, মাগো আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?’’ যতীন্দ্র মোহন বাগচীর এই কবিতার লাইনের মতো কাতর হয়ে কোনো বোন তার বোনকে, ভাই কোনো ভাইকে,বা বাবা- মা তার সন্তানকে খোঁজারও সুযোগ পাচ্ছে না এখন নিউ ইয়র্ক শহরে। যারা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে, তারা সুস্থ না হলে তাদের পরিবারের সদস্যরা মৃত্যুর আগে আর তাদের দেখার সুযোগ পাচ্ছে না, সুযোগ পাচ্ছে না তাদের শেষ কথাটা শোনার বা বলার। অনেকের মরদেহ মর্গে পড়ে থাকছে, পরিবারের সদস্যদের কাউকে না পেয়ে তাদের বেনামা হিসেবে হার্ট আইল্যান্ডের সরকারি কবরস্থানে কবর দেয়া হচ্ছে। আর সেই কবরগুলো গণকবর। যাদের মরদেহ কেউ দাবী করছে না জায়গার অভাবে সেই মরদেহগুলো বেশীসময় রাখা যাচ্ছে না। যখন পরিবারের একজন সদস্য নতুন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা্ও আক্রান্ত হচ্ছে, হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, অনেকসময় প্রিয়জনের মরদেহ নেবার মতো কেউ থাকছে না। খবর মানুষকে গ্রাস করছে। যারা করোনা আক্রান্ত নন, তারা ঘরে বসে এই নির্মম বাস্তবতা সহ্য করছেন, হাজারও মানুষের মৃত্যু সংবাদে আক্রান্ত হচ্ছেন।

পৃথিবীর প্রায় সব দেশ এই বৈশ্বিক দূর্যোগে আক্রান্ত। কিন্তু সবদেশে আক্রান্তের সংখ্যা বা মৃতের সংখ্যা একরকম না। কোন দেশ কিভাবে নতুন করোনা মোকাবেলা করছে, কোন দেশ এই ভাইরাস প্রতিরোধে কতোটা প্রস্তুত তার উপর নির্ভর করছে আক্রান্তের বা মৃতের হারের সংখ্যা। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে আক্রান্ত ১২৩১ জন, মৃতের সংখ্যা ৫০। আক্রান্তের সংখ্যা, মৃতের সংখ্যাই যখন খবর, তখন যুক্তরাষ্ট্রে রর্বাট কেনেডি হিউম্যান রাইটস সংস্থা বাংলাদেশ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তারা জানাচ্ছে,’’ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলার ব্যর্থতার জন্য সরকারের সমালোচনাকারীদের উপরে রাষ্ট্রিয় বাহিনী ঝাপিয়ে পড়েছে। তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে।’’ বাংলাদেশ নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টে্ও উল্লেখ করা হয়েছে একই রকম তথ্য। তারা বলছে, ‘’করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রমের সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করছে।’’ সংস্থাটি আরও বলেছে ’’করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ে যারা কথা বলছে, তাদের এবং অ্যাকাডেমিকদের টার্গেট করা বন্ধ করা উচিত বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে।’’ বাংলাদেশে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত তখন শুরু থেকেই বাংলাদেশ সরকারকে নতুন করোনা ভাইরাস নিয়ে অনেক আত্মবিশ্বাসী দেখা যায়। সরকার নতুন করোনা নিয়ে মানুষের মন্তব্যকে দমন করতে যেভাবে তাদের ভিন্নমত এবং বিরোধী দল দমনের পুরানো পদ্ধতি ’’গ্রেফতার, আতঙ্ক, রিমান্ড’’ ব্যবহার করেছে, কারও আপাত দৃষ্টিতে মনে হতেই পারে সরকার করোনাকেও বিরোধী দলের মতো করে দমন করতে চাইছে। কিন্তু করোনা তো কোনো জন আকাঙ্খা না, বা কোনো বিরোধী দল না যে চাইলেই দমন করা যাবে। করোনা একটি মারাত্নক ভাইরাস যা ক্ষমতা চেনে না, অস্ত্র চেনে না। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী, ক্ষমতাধর দেশগুলোর দিকে তাকালেই তা স্পষ্ট। সরকারের কাছে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সমস্ত তথ্যই ছিলো তারপরও সরকারের মন্ত্রীদের মন্তব্য শুনে যে কারো মনে হতে পারে মন্ত্রীদের কাছে নতুন এই করোনা ভাইরাস তার প্রতিনিধির মাধ্যমে কোনো গায়েবী বার্তা পঠিয়েছে কি-না, যে, নতুন করোনা বাংলাদেশকে আক্রমণ করবে না? ’ সরকারের একজন অত্যন্ত দায়িত্বশীল মন্ত্রী বলেছেন, করোনা নিয়ে আতঙ্কের মতো পরিস্থিতি হয় নি, করোনার চেয়ে আমরা শক্তিশালী’’। জনগণ এখন তাদের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ আনলে তাদের জবাব কি হবে! এইসব মন্তব্যের মধ্য দিয়ে মন্ত্রীরা দেশের আপামর জনসাধারণকে অহেতুক নিশ্চিন্ত করেছেন, অথচ যখন তাদের উচিৎ ছিল সাধারণকে নতুন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করা। আমরা জাতিসংঘের বাংলাদেশ সম্পর্কিত এক নথির বরাত দিয়ে জানতে পারি, জাতিসংঘ আশঙ্কা প্রকাশ করছে, বাংলাদেশে বিশ লাখ পর্যন্ত মানুষ মারা যেতে পারে। এই নথিটি যৌথভাবে তৈরী করেছে বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, সরকার, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা সমূহ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সরকারি সংস্থা এই পুরো গবেষণার সাথে জড়িত, সুতরাং বলার অপেক্ষা রাখে না, সরকার এই গবেষনার ফলাফল সম্পর্কে গোড়া থেকেই ওয়াকিবহাল ছিল। কিন্তু আমরা সরকারকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জরুরী ভিত্তিকে কোন আশু পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। প্রশ্ন হচ্ছে, জাতিসংঘের দেয়া মৃ্তের সংখ্যা নিয়ে এরকম আশঙ্কাজনক তথ্য থাকার পরও বাংলাদেশ সরকার কেন নতুন করোনা ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি? প্রবাসীরা যখন দেশে ফিরেছে তাদের করোনা টেস্ট করার উদ্যোগ নিতে পারতো সরকার। তা না করে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের এমন একটি স্থানে কোয়ারিন্টিনের জন্য পাঠানো হয়েছে, যা’র ব্যাবস্থা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। ফলাফল ব্যর্থ কোয়ারেন্টিন। লক্ষ্য করার বিষয় হলো মার্চে আমরা দেখলাম বিদেশ থেকে আগতদের কোয়ারিন্টিনের জন্য উদ্যোগ নিতে, কিন্তু কভিড-১৯ এর প্রকোপ তো চীনে শুরু হয়েছে গত বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি। নভেম্বরের পর কি চীন থেকে বা চীন সে সময় ভ্রমন করেছেন এরকম কোনো যাত্রী বাংলাদেশে আসেন নি? এরপর আমরা দেখলাম একজন কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছেন চিকিৎসার জন্য, শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা অভাবে যিনি মারা যান। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশায় কিভাবে মানুষের মৃত্যু হয় দেখতে শুরু করলাম আমরা । নিশ্চয়ই নতুন করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সবাইকে ঘরে থাকতে হবে কিন্তু, সে জন্য কি যথেষ্টভাবে সাধারণ মানুষকে সর্তক করা হয়েছিলো, কমিউনিটি পর্যায়ে, গ্রামে, গঞ্জে, সবাইকে, যারা অক্ষরজ্ঞানহীন,বা যাদের ঘরে রেডিও-টিভি নেই তাদেরকেও? ভুলে গেলে চলবে না এই সরকারের মন্ত্রীরাই ঠিক ক’দিন আগে বলেন,’’নতুন করোনা আমাদের আক্রান্ত করতে পারবে না।’’ মার্চ ২১। বিশ্ব যখন নতুন করোনা মোকাবেলায় গণ-জমায়েত বন্ধ করছে, স্থগিত করছে নির্বাচন তখন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। তিন আসনে এইদিন উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যখন বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২০, মৃতের সংখ্যা এক। এসব কিছুকে ছাপিয়ে যায় যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরও বাংলাদেশের রাস্তায় দেখা যায় হাজারও শ্রমিকের মার্চ। এই দৃশ্য দেখে যে কারো মনে হতে পারে অধিকারের দাবীতে শ্রমিকের আন্দোলন। কিন্তু না, শুধুমাত্র চাকরী রক্ষার্থে এক জেলা থেকে আরেক জেলা মাইলের পর মাইল হেঁটে এসেছে শ্রমিকেরা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় শ্রমিকেরা সাধারণ মানুষের কাতারে পড়ে না। সরকার এবং বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ ভাবে নি যেখানে পরিবহন বন্ধ সেখানে কিভাবে শ্রমিকেরা এসে কাজে যোগ দেবে। আরও দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে তাদের সুস্থতা ও নিরাপত্তার কথাও ভাবা হয়নি। শত শত শ্রমিক একসাথে কাজে আসবে, এর মধ্যে শারীরিক দূরত্ব কিভাবে রক্ষা হবে তা নিয়ে কারও চিন্তুা নেই। যেন সবার সুস্থ থাকার, সবার নিরাপদ থাকার অধিকার সমান না।বিজিএমইএর জন্য বরাদ্দকৃত অর্থে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন দেবার কথা উল্লেখ করলেও, কুষক-দিনমজুর, রিক্সাচালকদের জন্য সরকার এখনও কোন অনুদান ঘোষণা করে নি।নতুন করোনা ভাইরাস বিশ্বের অনেক সরকারের জন্য একটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তবে যে দেশে প্রতি পাঁচ জনে এক জন দারিদ্র সীমার নীচে বাস করে সেই দেশে কভিড-১৯ মোকাবেলায় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হলো জনগনের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া। চিকিৎসা ব্যবস্থার করুণ চিত্র আমরা দেখছি। পাশাপাশি দেখছি দরিদ্র মানুষের রিলিফ চুরির নির্মমতা। জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সরকারি নেতা কর্মীরা যেভাবে দরিদ্র মানুষের রিলিফ চুরি করছে, সেখানে সরকারকে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, নইলে হয়ত বাংলাদেশে শুধু কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েই না,অনাহারেও মুত্যু হবে মানুষের। আমরা বিভিন্ন দূর্যোগকালীন সময়ে দেখেছি শাষকগোষ্ঠী তাদের অভিপ্রায়মত নীতি প্রনয়ণ করে থাকে যা সাধারনত দূর্বল ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যায়। যে দেশে যত কম গণতন্ত্র সে দেশে তত দারিদ্রবিমূখ নীতি প্রণয়ন হতে দেখা যায়। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এর যথার্থ প্রমাণ হলো ব্যবসায়ীদের জন্য ঘোষিত ঋণ সুবিধা, যেখানে গার্মেন্টস মালিকেরা দেবেন ২% , ’সি আই পি’রা দেবেন ৪%, আর গরিব কৃষকেরা সেখানে পরিশোধ করবেন ৪% হারে ঋণ। গণতন্ত্র সমুন্নত থাকলে সরকার নিশ্চয়ই কৃষকের ন্যায্য পাওনার বিষয়টাকে অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য হতো, কারণ এই দূর্যোগকালে গার্মেন্টস মালিক এবং সি আই পিদের চেয়ে বেশী সাহায্য প্রয়োজন কৃষকদের। দরিদ্র জনগোষ্ঠির পক্ষে সরকারকে বিশেষ করে দূর্যোগকালে তাদের চাহিদা পূরণে বাধ্য করা কঠিন। এ প্রসঙ্গে কানাডিয়ান লেখক ও এক্টিভিস্ট নাওমি ক্লাইন বলেন, ’’বিশ্বের উন্নত, অনুন্নত দেশ নির্বিশেষে রাজনৈতিক-অর্থনেতিক-প্রাকৃতিক দূর্যোগকে কাজে লাগিয়ে (কোন কোন ক্ষেত্রে দূর্যোগ সৃষ্টি করে) নয়া উদারবাদী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক এলিট ও আন্তর্জাতিক কর্পোরেট মহল তাদের প্রতিক্রিয়াশীল, আরোপিত নীতি গ্রহণে বিশ্বের জনপদকে বাধ্য করে।’’ এইভাবে এলিটদের আরোপিত প্রতিক্রিয়াশীল নীতি চাপিয়ে দেবার মতবাদকে তিনি বলছেন ’’শক ডক্ট্রিন’’। বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক। শ্রমিকদের মাইলের পর মাইল রক্তাক্ত পায়ে কাজে যোগ দেবার জন্য হেঁটে আসতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা ইঁদুরের মত ট্যাঙ্কের ভেতরে লুকিয়ে ঘরে ফিরতে বাধ্য হয়েছে। রাষ্ট্র লকডাউনের আগে শ্রমিকের কথা ভাবেনি। তুলনামূলকভাবে কৃষকের জন্য উচ্চ সূদের হার নিয়ে কৃষক এখন নামতে পারবে না কোন আন্দোলনে। নাওমি ক্লাইনের উল্লেখিত শক ডকটেরিনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে পুরা বিশ্ব। বলার অপেক্ষা রাখে না বাংলাদেশ হতে পারে এর উৎকৃর্ষ্ট উদাহরণ।

একের পর এক দৃশ্যে করুন ভাবে চিত্রায়িত হচ্ছে বাংলাদেশ যেখানে আমরা দেখতে পাই সবার বাঁচার অধিকার সমান না। এমনকি এই মহাদূর্যোগকালে আমরা দেখলাম কিভাবে একজন চিকিৎসকের মৃত্যু হলো। এই চিকিৎসককে ঢাকায় আনতে এয়ার এম্বুলেন্সে দেয়া হয়নি। ঠিক এই সময়ে আমরা এয়ার এম্বুলেন্স সুবিধা পেতে দেখেছি অন্য সরকারী কর্মচারীকে। রাষ্ট্র যেন এখানে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কাকে বাঁচানো জরুরী। আপাতত আমরা জানি না কভিড-১৯ এর জন্য অপ্রস্তুত বাংলাদেশে আমাদের জন্য আরও কতো নির্মম দৃশ্য অপেক্ষা করছে। মনে রাখা দরকার দূর্যোগ যেমন দারিদ্রতা বাড়ায়, দারিদ্রতাও ঠিক একইভাবে দূর্যোগ বাড়ায়। আজ টাঙ্গাইলে লকডাউনে থাকা গ্রামবাসীরা খাবারের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এই অভূক্ত জনগোষ্ঠীর মৃত্যু আতঙ্ক নেই তা নয়। তাদের বেছে নিতে হচ্ছে কভিড-১৯ এ মৃত্যু নাকি, ক্ষুধায়। ট্রাম্পকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন,’ আপনি এতোদিন সময় পেলেন নতুন করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কোনো ব্যবস্থা নেন নি কেন?’ তিনি ক্ষেপে গিয়ে তাকে ’’ফেক নিউজ’’ করেন বলে অপমান করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *