মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত দুইটার দিকে ঢাকাগামী বাসটি উপজেলার বাতাসন গ্রাম এলাকায় পৌঁছলে এ হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনার পরপরই রাতে বাতাসন গ্রামে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৮ জনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা জামায়াত-শিবিরের কর্মী। এদের মধ্যে অন্তত দুইজন বোমা হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে তাদের নাম জানানো হয়নি। অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে রাতে বাংলানিউজকে জানায় পুলিশ।
রংপুরের পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ ও বিজিবি প্রহরায় ঢাকাগামী বাসটি বাতাসন এলাকায় যাত্রী উঠানোর জন্য থামলে পাশের বাঁশঝাড়ে ওঁতপেতে থাকা জামায়াত শিবিরের কর্মীরা গাড়িটিতে পরপর কয়েকটি পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে। এতে পুরো গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। এসময় শিশুসহ ৪ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে ১০জন গুরুত্বর অগ্নিদগ্ধ হন। তবে হতাহতদের পরিচয় তখনও জানাতে পারেননি তিনি।
মারাত্মক দগ্ধদের রংপুর মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক আবদুর রাজ্জাক জানান, দগ্ধদের মধ্যে ৭জনের অবস্থা গুরুতর। এদের অনেকের শরীরের ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে।
এছাড়া দু’জনের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে মিঠাপুকুর উপজেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ। তবে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
নিহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।