ডেস্ক: করোনা ভাইরাসে চিকিৎসায় মানবদেহে দুইটি টিকার পরীক্ষামূলক ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে চীন সরকার। বেইজিং-ভিত্তিক সিনোভেক বায়োটেক ও চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান উহান ইন্সটিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস এই টিকা দুইটি তৈরি করছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন পরীক্ষা দুটির অনুমোদন দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা ও চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
গত মাসে চীনা সামরিক বাহিনী সমর্থিত প্রতিষ্ঠান একাডেমি অব মিলিটারি মেডিক্যাল সায়েন্সেস ও বায়োটেক সংস্থা ক্যানসিনো বায়ো প্রস্তুতকৃত আরো একটি টিকার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছিল বেইজিং। মার্কিন বায়োটেক প্রতিষ্ঠান মডার্না একটি টিকা মানব দেহে পরীক্ষা করার ঘোষণা দেয়ার পরপরই ওই টিকার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছিল বেইজিং। ওই টিকাটি এখন পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদক সারাহ ক্লার্ক হংকং থেকে জানান, চীনে এখন নিশ্চিতভাবে তিনটি টিকার পরীক্ষামূল ব্যবহার চলছে। দেশটির স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, টিকাগুলো বৈশ্বিক পর্যায়ে গণহারে উৎপাদনের অনুমোদন দেয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ হওয়া বাকি আছে এখনো।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি অনুসারে, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ।
আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লাখের বেশি। দেশে দেশে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে টিকা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে টিকা তৈরিতে তাড়াহুড়া করা উচিৎ নয় বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের প্যাথোলজি বিষয়ক অধ্যাপক জন নিকোলাস বলেন, টিকা তৈরিতে তাড়াহুড়া করা যাবে না। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে গবেষণার জন্য কৃত্তিম উপায়ে পরীক্ষাগারে প্রথম করোনা ভাইরাস তৈরি করতে পেরেছিলেন নিকোলাস ও তার দল। তিনি বলেন, সাধারণত টিকা তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমে ছোট আকারের প্রাণীদের উপর পরীক্ষা চালানো হয়। এরপর ধীরে ধীরে স্তন্যপায়ী প্রাণী ও সবশেষে মানুষের মধ্যে পরীক্ষা কররা হয়। তবে চীন সরাসরি মানব দেহে পরীক্ষা শুরু করেছে। তিনি চীনের মানব দেহে টিকা তৈরির পদক্ষেপটিকে অত্যন্ত দুঃসাহসী হিসেবে বর্ণনা করেছেন।