ময়মনসিংহ ও গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর জেলা লকডাউন হওয়ার পর দুই জেলার সীমান্তবর্তী সকল স্থল ও জলপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দুই জেলায় যাতায়াতের জন্য নির্মিত ব্রীজে ব্যারিকেড দিয়ে লকডাউন করেছে প্রশাসন। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সীমান্তবর্তী সকল হাটবাজার। বন্ধ হয়ে গেছে দুই জেলার লোকদের সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে যৌথ অংশ গ্রহন।
জানা গেছে, গতকাল দুই জেলার সীমানায় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নে একই পরিবারের ৩জন সহ ৪জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রশাসন শ্রীপুর ও ভালুকা উপজেলার মধ্যে যোগাযোগের সকল মাধ্যম লকডাউন করে দেয় প্রশাসন। আক্রান্ত এলাকায় অবস্থিত ভালুকা উপজেলার ঝালপাজা বাজার, পারুলদিয়া বাজার, শ্রীপুর উপজেলার হয়দেবপু দরগা বাজার, বারতোপা বাজার লকডাউন করা হয়। দরগা বাজার থেকে পারুলদিয়া বাজার রাস্তায় দুই জেলার সীমানা নির্ধারণী খিরু নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটির মাঝে ব্যারিকেড দিয়ে গণপরিবহন ও মানুষের যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে। ওই সকল হাটবাজারে বিভিন্ন চায়ের দোকান ও সকল ধরণের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নিষেধ করা হয়েছে যে কোন গণজমায়েত সহ সাপ্তাহিত হাটবার।
স্থানীয়রা জানায়, আক্রান্ত এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন মসজিদের মাইক দিয়ে বার বার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে যার যার ঘরে থাকার আহবান জানানো হচ্ছে। একই সঙ্গে দুই জেলার বাসিন্দাদের পারস্পরিক আত্মীয়তার বন্ধনে সকল ধরণের সামাজিক ও শারিরিক দূরত্ব বজায় রাখতে দৈহিক দেখা-সাক্ষাৎ সাময়িকভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
দুই জেলার সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী জানায,গ্রামের মানুষ সব সময় ভীতু। পুলিশ সকল হাটবাজার বন্ধ করে দেয়ার কারণে সাপ্তাহিক হাটও বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রামের হাট বাজার যেহেতু প্রতিদিন বসে না, তাই ঘরবন্দি মানুষের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় জরুরী সামগ্রী সরবরাহের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার দাবী করছেন তারা। একই সঙ্গে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় সরকারি বেসরকারি ত্রাণ দাবী করছেন ওই অসহায় মানুষেরা।