নোয়াখালী: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে সর্দি, জ্বর ও শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত হয়ে নিহত ইতালি প্রবাসী মোরশেদ আলম (৪৫) এর করোনা পজেটিভ এসেছে। ওইপ্রবাসীকে চিকিৎসা দেওয়া নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও তার পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বিশেষ লকডাউন করা হয়েছে সোনাপুর ইউনিয়নকে। প্রবাসী ও তার পরিবার বিষয়টি গোপন রেখে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নেওয়ায় এবং বর্তমানে তার করোনা পজেটিভ আসায় এলাকার লোকজনের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ওই প্রবাসীর করোনা রিপোর্ট পজেটিভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস। এরআগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে নিহতের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর। নিহত মোরশেদ আলম উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিম চাঁদপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি বলেন, সোনাপুর ইউনিয়নটিকে বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
একইসাথে ওই ইউনিয়নকে প্রশাসনের কঠোর নজরধারীতে রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবার ও স্বজন যারা তার সংস্পর্শে এসেছিল তাদের সবাইকে হোমকোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিহতের স্বজন আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মোরশেদ আলম গত ৫ নভেম্বর ইতালি থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন। এরপর কয়েক দফায় তার বিদেশ ফেরত বন্ধুদের সাথে দেখা করতে সে ঢাকা গিয়েছিলেন। এছাড়াও ইতালি দূতাবাসে গিয়েছিল কয়েক বার। গত ১০-১২দিন আগ থেকে সে সর্দি ও জ্বরে ভুগছিলেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী মানবজমিন কে জানান, গত বুধবার বিকালে ইতালি প্রবাসী মোরশেদ আলম বুকে ব্যাথা বলে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিল। তার শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে প্রথমে একবার এক্সরে ও পরে দ্বিতীয় দফায় এক্সরে করা হয়। এক্সরে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে ওই ওয়ার্ড থেকে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। তার ফুসফুস তখনই সঠিক ভাবে কাজ করছিল না। পরবর্তীতে তাকে রাতেই ঢাকা নেওয়ার জন্য পরমার্শ দেওয়া হলেও তার পরিবারের লোকজন বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তিনি আরও জানান, ওই প্রবাসীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া তিন চিকিৎসক, দুই নার্স ও হাসপাতালের দুইজন স্টাফকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ৮নং ওয়ার্ডের আশপাশের সকল রোগীকে নিরাপদে সরিয়ে রাখা হয়েছে।