সিলেট: করোনা সংক্রমন ঠেকাতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা ৬২৭ জন বন্দির মুক্তির প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়ে। সম্প্রতি সিলেট কারা কর্তৃপক্ষ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ পাওয়ার পর এই প্রস্তাবনা পাঠায়। তবে- মন্ত্রনালয় থেকে এখনো মুক্তির কোনো নির্দেশনা আসেনি।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলা সুপার মো. আব্দুল জলিল জানিয়েছেন- ৮ ক্যাটাগরীতে থাকা বন্দিদের একটি তালিকা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দীর্ঘ দিনের সাজাপ্রাপ্ত আসামি, অচল কিংবা অক্ষম আসামি, লঘু অপরাধের আসামি ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা রয়েছেন।
কারা সূত্র জানায়- সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে যে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে ৫৬৯ ধারায় ৬৮ জন, অচল অক্ষম ৮ জন, এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত ১৬ জন, ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত ৪৯ জন, ৬ মাসের সাজা বাকি ৭ জন, লঘু অপরাধ ২২ জন, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৫৬ জন ও মোট সাজার তিন ভাগ শেষ হওয়া ১০১ জন রয়েছেন।
জেলা সুপার জানান- সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের অধিভুক্ত নতুন ও পুরাতন দুটি কারা ভবনে ধারন ক্ষমতা রয়েছে ৩২০০ জনের। বর্তমানে বন্দি রয়েছে ২৭০০ জন। সূতরাং ধারন ক্ষমতার চেয়ে প্রায় ৫০০ জন বন্দি কম রয়েছে।
সুতরাং সিলেট কারাগারে বন্দি বেশি এ কথা বলার সুযোগ নেই এখন। এখন যেসব বন্দি রয়েছে তারা যাতে দুরত্ব বজায় রেখে চলতে পারেন সে ব্যবস্থা রয়েছে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভার শুরু হওয়ার পর থেকে সতর্ক সিলেট কারা কর্তৃপক্ষ। কারাগারের ভেতরেই স্থাপন করা হয়েছে কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন সেন্টার। তবে- এখনো কোনো বন্দির জন্য এগুলো ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়েনি। কারা অভ্যন্তরে যাতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকে সতর্ক রয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
জেলা সুপার আব্দুল জলিল জানান- এখন আসামির সংখ্যা কম। এরপরও প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ জন আসামি নতুন করে আসছে। কারাগারের একটি ওয়ার্ড নতুন আসামিদের জন্য বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। বাইরে থেকে যেসব আসামি কারা অভ্যন্তরে ঢুকছে তাদের ১২ দিনের অভজারভেশনে থাকতে হচ্ছে। এই সময়ে তারা ওয়ার্ডে বাইরে বের হতে পারবেন না। তাদের খাওয়া ওয়ার্ডেই পৌছানো হচ্ছে। কোয়ারিন্টের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর তাদের নির্ধারিত ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে- বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছেন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অনেক নেতা। সিলেট বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন- এই সময়ে রাজনৈতিক বন্দিদের কারা অভ্যন্তরে থাকা দু:খজনক। সরকার চাইলে তাদের মুক্তি দিতে পারে। যারা কারাগারে আছে তারা বাইরে থাকলে সাধারন মানুষের পাশে দাড়াতে পারতেন বলে জানান তারা।