ঢাকা: চলমান করোনা প্রতিরোধ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন সরকাররি ও বেসরকারী কর্মীরা। যারা সরকারি কর্মী তারা বেতন পাচ্ছেন। আর যারা বেসরকারি কর্মী তাদের অফিস বন্ধ থাকার কারণে বেতনও পাচ্ছেন না। আর যেসকল বেসরকারী কর্মীর বেতন নাই কিন্তু সামান্য ভাতা নিয়ে জীবনবাজি রেখে কাজ করেন তারা কেমন আছেন! সেই খবর কারো কাছে নেই। অনেক সংবাদকর্মী আছেন, যাদের পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে, বা সচল থাকলেও বেতন পাচ্ছেন না, তাদের পকেট কেমন আছে, তা জানার কোন উদ্যোগ নেই। অথচ ২৪ ঘন্টাই তারা জীবননের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে জনসাধারণকে লকডাউন মানতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাজ করছেন। মানুষ ঘর থেকে বের হলেই খবর দিচেছন যারা, তাদের খবর নিতে এখনো কোন উদ্যোগ নেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশে অসংখ্য বেসরকারী স্বাস্থ্য কর্মী ও সেচ্ছাসেবক এবং সংবাদকর্মী করোনা মোকাবেলায় দায়িত্ব পালন করছেন। সংবাদকর্মীদের মধ্যে অনেকের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অনলাইন ভার্সন খোলা। তাই দায়িত্ব পালন করছেন তারা। ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালনকারী ওই সকল কর্মীরা পারিবারিকভাবে কেমন আছেন, তার খোঁজ খবর কারো কাছে নেই। বর্তমানে দেশে যেসকল মিডিয়া প্রতিষ্ঠান খোলা আছে, তার মধ্যে অনেক কম প্রতিষ্ঠানই আছে কর্মীদের বেতন দিতে পারছেন। ফলে বিশাল অংকের মিডিয়া কর্মী অর্থনৈতিকভাবে চরম দৈন্যদশায় আছেন। সামাজিক মর্যাদা ও আত্মসম্মানের কথা চিন্তা করে তারা কাউকে বলতে পারছেন না অথচ প্রতিদিনিই দায়িত্ব পালন করছেন দেশের জন্য, মানুষের জন্য।
এ ছাড়া বেসরকারী স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় মালিকপক্ষ বেতন দিতে হিমশিমও খাচ্ছেন। আর সেচ্ছাসেবী কর্মীদের তো কোন বেতন বা ভাতাও নেই। স্বপ্রণোদিত হয়ে তারা দেশের জন্য কাজ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজধানী ও সারাদেশে থেকে অসংখ্য সংবাদকর্মী গ্রামবাংলানিউজকে জানিয়েছেন, তারা দেশের জন্য ও মানুষের জন্য কাজ করছেন জীবনবাজি রেখে অথচ তাদের খোঁজখবর নিচ্ছে না কেউ।